বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭, ০৭:২৯:০৪

পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য: চীন

পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য: চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য। ভারত নয়, আমেরিকাও নয়, এই মন্তব্য এ বার চীনের। দেশটির শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির যে মুখপত্রে আন্তর্জাতিক এবং কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে চীনের মনোভাব বিশদে প্রকাশ করা হয়, সেই গ্লোবাল টাইমসেই পাকিস্তানে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে এমন কথা লেখা হয়েছে।

গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- পাকিস্তানে যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে চীন, তা যে কোনও সময় নাশকতার কবলে পড়তে পারে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে চীনা মুখপত্রটিতে।

বালুচিস্তানে এক সপ্তাহ আগেই ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনাটা। দুই চীনা নাগরিককে সন্ত্রাসবাদীরা অপহরণ করে খুন করেছে। অভিযোগের তীর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দিকে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চীন। কর্মসূত্রে পাকিস্তানে গিয়েছেন যে চীনা নাগরিকরা, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই হবে ইসলামাবাদকে- বেশ কড়া ভাবেই এই বার্তা দেওয়া হয় বেজিং-এর তরফ থেকে। এ বার গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে ফের পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিতে চাইল চীন।

ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা ওবিওআর নীতির রূপায়ণে চিন এখন অত্যন্ত উত্‍সাহী। চীনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ যাবত্‍ যে সব প্রকল্প গৃহীত হয়েছে, তার মধ্যে চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডরই (সিপিইসি) সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।

আবার এই করিডরকে কেন্দ্র করেও গড়ে উঠছে নানা প্রকল্প। সে সব প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য চীনা ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশার নাগরিকদের ভিড়ও প্রায় রোজই বাড়ছে পাকিস্তানে। এই চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বেজিং কোনও রকম আপোসের পক্ষপাতী নয়। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে গ্লোবাল টাইমসে।

পাকিস্তানে কাজ করতে গিয়ে চীনা নাগরিকরা যে ধরনের বিপদের মুখে পড়ছেন, তার প্রেক্ষিতেই যে চীনা সংবাদপত্রে এ কথা লেখা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মহলেরই সংশয় নেই।

চীন অবশ্য নিজেকে সন্ত্রাসবাদীদের অন্যতম বড় নিশানা হিসেবে এখনও মনে করছে না। গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, ''এমন নয় যে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এখন চীনকেই তাদের নিশানা বানিয়েছে।''
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে