আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, কাতারকে শিকার বানিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর কোনো উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। বরং নিজেরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ অবস্থা থেকে অবিলম্বে ফিরে যাওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কাতারি ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারি না। কারণ তারা কোনো অপরাধ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি তা ভাল করেই জানি।’ মঙ্গলবার তুর্কি পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
কাতারকে একঘরে করা অমানবিক ও ইসলামি মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সঙ্কট সমাধানে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালনে সৌদি আরবের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
ভাষণে এরদোগান আরো বলেন, তুরস্কের আশপাশে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস’র বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কাতার। যাচ্ছে তাই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কাতারকে শিকার বানিয়ে কোনো উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, কাতারের ক্ষেত্রে এক গুরুতর ভুল করা হচ্ছে। তাদের বিচ্ছিন্ন করার এই চেষ্টা অমানবিক এবং ইসলামী মূল্যেবোধের বিরোধী। এটা কাতারকে মৃত্যুদণ্ড দেবার শামিল।
প্রসঙ্গত, ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) আরবি ভাষায় দায়েস বলা হয়ে থাকে। এরদোগান আইএস বোঝাতে তার ভাষণে দায়েস শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও ইরানকে সমর্থন করার অভিযোগ এনে গত সপ্তাহে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর ও তাদের কয়েকটি মিত্র দেশ। কিন্তু এসব দেশের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার।
এরদোগান তার ভাষণে বলেন, দেখে মনে হচ্ছে, কিছু দেশ কাতারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে উপসাগরীয় দেশ কাতারের বিরুদ্ধে রূঢ় পদক্ষেপ পুনর্বিবেচনায় সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতা হিসেবে সৌদি বাদশাহর এই ইস্যু সমাধান করা উচিত। আমি বিশেষভাবে মনে করি, সঙ্কট সমাধানের পথে তার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। কাতার নিয়ে বড় ধরনের ভুল করা হয়েছে, সব দিক থেকে একটি দেশকে বিচ্ছিন্ন করা অমানবিক এবং ইসলামি মূল্যবোধের পরিপন্থী। মনে হচ্ছে, কাতারের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এরদোগান।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে