আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধর্মনিরপেক্ষ নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি খারিজ হল সেদেশের গণ পরিষদে। এর মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগে প্রবেশ করলো দেশটি।
নেপালের নাগরিকদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, এই যুক্তিতে হিন্দুপন্থী জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের তরফে কমল থাপা প্রস্তাব দেন, হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ফের স্বীকৃত হোক নেপাল।
কিন্তু আজ গণ পরিষদে চেয়ারম্যান সুবাসচন্দ্র নেমবাং ঘোষণা করেন, কমল থাপার প্রস্তাব মানা হয়নি। এর পরে গণ পরিষদে ভোটের দাবি করেন থাপা। সেখানে ৬০১টি আসনের মধ্যে মাত্র ২১ জন কমল থাপার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র পরিচালিত নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু তার পর রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের সময় সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয় হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই দেশটি।
চলতি বছর জুলাই মাসে গণভোটের মাধ্যমে নেপালের সাধারণ মানুষ রায় দেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে নয়, ‘হিন্দু’ বা ‘স্বাধীনধর্মী’ রাষ্ট্রের নামে পরিচিতি চান তাঁরা। সোমবার গণ পরিষদে এই দাবি খারিজ হওয়ার পর কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় হলুদ ও গেরুয়া পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান হিন্দুপন্থী জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা।
তাঁরা মিছিল করে গণ পরিষদের ভিতর ঢুকতে চাইলে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। পথচলতি গাড়ির উপরেও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। সূত্র: আনন্দবাজার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস