আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ মিয়ানমারে পরিকল্পিত নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন। এই দুঃসময়ে তাদের জন্য সম্ভব সবকিছু করবে মালয়েশিয়া। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সামরিক বিমানে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১২ টন ত্রাণ পাঠানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন। এরইমধ্যে এসব ত্রাণ চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
নাজিব রাজাক বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে এ মানুষগুলোর ওপর বৈষম্য, নির্যাতন, খুন হচ্ছে। তাদের প্রতি কোনও দয়ামায়া বা অনুকম্পার স্থান নেই।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিস্কুট, চাল এবং সাবানভর্তি দুটি প্লেন পাঠাচ্ছি।
একদিন আগে ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভের আয়োজন করে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউএমএনও। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান। দেশজুড়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগের মুখে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাজিব রাজাক বলেন, ‘হ্যাঁ! এই বিষয়টি আমি তার (ট্রাম্প) কাছে তুলে ধরবো।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মৌলিক অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নৃশংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে শুক্রবার মালয়েশিয়ার মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দেশটিতে বসবাসরত প্রায় শখানেক রোহিঙ্গা। একইদিন মালয়েশিয়ার মেরিটাইম সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিতে আগ্রহী কুয়ালা লামপুর। মালয়েশিয়ার কোস্ট গার্ড তাদের ফিরিয়ে দেবে না বরং তাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
মালয়েশিয়া মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক জুলকিফলি আবু বকর বলেন, মিয়ানমার থেকে আরও অনেক রোহিঙ্গা নৌকা নিয়ে আসতে পারে। তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদেরকে প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া কথা ছিলো। কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ। আর মানবিক কারণেই আমার এই কাজ করতে পারবো না।’ - দ্য স্টার, স্ট্রেইট টাইমস
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস