আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। কিন্তু রোহিঙ্গা সহিংসতা নিয়ে দেশটির সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তাধারা অভিন্ন। তারা রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিকই মনে করে না। মিয়ানমারের অধিকাংশ নাগরিক মনে করে, রোহিঙ্গারা বাঙালি মুসলমান। ফলে তাদের ধর্মে চারটি বিয়ের প্রচলন আছে এবং তারা অনেক সন্তান জন্ম দেয়। তাদের আশঙ্কা, অধিক সন্তান জন্ম ও বংশবৃদ্ধির ফলে কোন একসময় তারা অধিপত্য বিস্তার করবে এবং রাখাইন অঞ্চল দখল করে নেবে।
মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে রোহিঙ্গা শব্দটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য। মনে করা হয়, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি ভিন্ন। মিয়ানমারের ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিবেচনা করা হয় না।
রোহিঙ্গাদের ওপর বিরূপ ধারণা সম্বন্ধে মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে এক নারী বলেন, ‘তাদের কোন লেখাপড়া নেই। তারা কোন চাকরি পায় না। তাদের অনেক সন্তান।’
আরেকজন নারী বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীর যদি অনেক বাচ্চা থাকে এবং তারা যদি পাশের বাড়িতে গিয়ে শোরগোল করে , আপনি কি তাদের পছন্দ করবেন?’
তবে মিয়ানমারের সব স্তরের মানুষ গড়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ কররেও কিছু মানুষ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আছে। কিন্তু তারা ততটা সরব নয়।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সহিংসতা বিষয়ে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলেন, ‘আমার মনে হয় বহু বাঙালী মুসলমান মারা গেছে। আমার হয়, সরকারী সৈন্যরা তাদের অনেককে হত্যা করেছে। আমার মনে হয়, জাতিসংঘের এখানে জড়িত হওয়া উচিত।’ বিবিসি বাংলা
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস