আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সপ্তাহ দুই হয়ে গেল, রোহতকের সুনারিয়া জেলে বড় কষ্টে আছেন বাবা রাম রহিম। ভাল নেই তিনি। সমস্যা হচ্ছে কিছু। কীরকম সমস্যা? খুব অস্থির লাগছে, বড় অস্বস্তি হচ্ছে শরীরে। শনিবার সে জন্য ডাক্তারদের একটি দলকে ডাকতে হল জেলে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞও ছিলেন সেই দলে। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন বাবাকে। জানা গেছে, চিকিত্সকরা মনে করছেন, এক ধরনের উইথড্রয়াল সিম্পটম দেখা যাচ্ছে রাম রহিমের মধ্যে। জেলে কামনা মেটানোর উপায় নেই। তাই অস্থির হয়ে উঠেছেন। এই সমস্যার চিকিত্সা সম্ভব। কিন্তু দেরি করলে সমস্যা বাড়তে পারে।
প্রশ্ন, রাম রহিম কি মাদকও নিতেন? সেটা পরিষ্কার নয়। ১৯৮৮ পর্যন্ত রীতিমতো মদ খেতেন, এমন খবর চাউর আছে। ডেরার একদা-সদস্য গুরদাস সিং তুর জানান, হালে রাম রহিম মদ খেতেন কি না জানা নেই, তবে নিয়মিত এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং টনিক খেতেন।
বিদেশ থেকে, মূলত অস্ট্রেলিয়া থেকে সে সব আনা হত। ধর্ষণের অভিযোগ খণ্ডন করতে রাম রহিম আদালতে বলেছিলেন, তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম। ১৯৯০-এ যখন তিনি ডেরা প্রধান হয়ে ঘোষণা করেন, পরিবারকে পরিত্যাগ করছেন, সাধারণ মানুষের মতো আর কোনও কামনা বাসনা তাঁর নেই। বলাই বাহুল্য, আদালতকে এসব বলে ভোলানো যায়নি। জেলে আসার পর রাম রহিম মরিয়া ছিলেন, 'পালিত কন্যা' হানিপ্রীতকে ফিজিওথেরাপিস্ট বলে নিজের কাছে রেখে দিতে। --আজকাল
এমটিনিউজ২৪/এম.জে