আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতা থেকে পালিয়ে প্রায় তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভাষ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালাচ্ছে, হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগও করছে তারা।
তবে মিয়ানমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, 'রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী'দের বিরুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনী লড়াই করছে। গত দুই সপ্তাহে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন, তারা এসেছেন তিনটি জেলা থেকে: মংডু, বুথিডং, এবং রাথেডং।
এ তিনটিই হচ্ছে মিয়ানমারের শেষ তিনটি এলাকা যেখানে বড় সংখ্যায় 'মুক্ত পরিবেশে' রোহিঙ্গা বসতি আছে। এ ছাড়া বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গারা আছে শুধু মাত্র বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শিবিরে। এসব জেলায় যাওয়া খুব কঠিন, রাস্তা খারাপ - তাছাড়া সেখানে যেতে সরকারি অনুমতিপত্র লাগে।
আর সাংবাদিকরা সেখানে যাবার অনুমতি খুব কমই পায়। সম্প্রতি কয়েকজন দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের এক দলের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের মংডু জেলায় যাবার এক বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন বিবিসির জোনাথন হেড।
মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকে তাদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ধবংসযজ্ঞ চলার বর্ণনা দিচ্ছে, সেই নেতিবাচক প্রচারের একটা জবাব দেয়া। তবে কর্তৃপক্ষের নানা বিধিনিষেধের মধ্যে সাংবাদিকরা যে কয়েকটা জায়গায় যেতে পেরেছেন, তাতে বুঝতে পেরেছেন মিয়ানমারের পরিস্থিতি আসলে কী। --বিবিসি
এমটিনিউজ২৪/এম.জে