মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৫:২০

এবার রাখাইনে ইকোনোমিক জোন করছে মিয়ানমার

এবার রাখাইনে ইকোনোমিক জোন করছে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতার পর দেশটির সরকার এখন সেখানকার মংগদু শহরে স্পেশাল ইকোনোমিক জোন গড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। ইকোনোমিক জোন গড়তে ইতিমধ্যে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাফ রিভার গ্যালাক্সি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলভমেন্ট গ্রুপ। দেশটির মিডিয়া ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার এ খবর দিয়ে বলছে এধরনের উদ্যোগকে ‘রহস্যজনক’ বলে অভিহিত করেছে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় এধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মিয়ানমার সরকার।

রাখাইন অঞ্চলের ফিন্যান্স এন্ড প্লানিং প্রতিমন্ত্রী উ খেওয়া আই থেইন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারকে বলেন, মিয়ানমার সরকার এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। নাফ নদীর পাশেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রাম কানয়িন চাউংএ এধরনের ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা হবে। এ গ্রামটিতে চোরাকারবারীরা এতটাই সক্রিয় যে মিয়ানমার পুলিশ সেখানে দিনের বেলা যেতেও ভয় পায়। এছাড়া এধরনের উদ্যোগ কতটা সফলতা পাবে যেখানে গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অভিযান চলছে এবং মিয়ানমার সরকারের হিসেবেই ৪’শ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি বলা হচ্ছে। তবে মিয়ানমারের প্রতিমন্ত্র খেওয়া আই বলছেন, সমঝোতা স্বাক্ষরের দিন সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, এর আগে মিয়ানমার সরকার রাখাইনের ওই এলাকায় ‘ ট্রেড জোন’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু এখন তা স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে উন্নীত করা হয়েছে। এধরনের জোন পরিচালিত হবে আঞ্চলিক সরকারের পরিবর্তে ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারের মাধ্যমে। যারা সেখানে বিনিয়োগ করবেন তাদের মিয়ানমার সরকার জমি লিজ দেবে স্বল্পমূল্যে এবং কর মুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে।

নাফ রিভার গ্যালাক্সি প্রকল্পের পেছনে কারা ? এমন প্রশ্ন তুলে ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার জানিয়েছে গত ৫ সেপ্টেম্বর নাফ রিভার গ্যালাক্সি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট গ্রুপের রেজিস্টার্ড হয়। মিয়ানমারের ডাইরেক্টরেট অব ইনভেস্টমেন্ট এন্ড কোম্পানি এ্যাডমিনেস্ট্রেশন নথিভুক্ত করে এ গ্রুপকে। প্রতিমন্ত্রী খেওয়া আই জানান, মংগদু ও ইয়াঙ্গুনের অন্তত ৭ শীর্ষ ব্যবসায়ী এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। তবে প্রতিমন্ত্রী তাদের নাম জানাননি।

ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকার মংগদুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করেছে। বিনিয়োগ করতে বলেছে, কনসোর্টিয়াম গড়ে তুলতে বলেছে। যাতে ইয়াঙ্গুনের আরো ব্যবসায়ী এ প্রকল্পে যোগ দিতে পারে।

আপাতত প্রস্তাবিত এ গ্রুপটির দুজন পরিচালকের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের একজন হচ্ছেন, উ খেওয়া নাইং থান যিনি মংগদু শহরে সিটিজেনশিপ স্ক্রুটিনি কার্ড ইস্যু করে থাকেন এবং অন্যজন হচ্ছেন উ খেওয়া টিন্ট। এ প্রস্তাবিত কোম্পানিটির আর কোনো পরিচালক এখনো নিয়োগ করা হয়নি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে