শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০২:০০:৫৩

মিয়ানমার প্রস্তাবে ভোটে ‘অনুপস্থিত’ থাকায় সমালোচনার মুখে ইরানি দূত

মিয়ানমার প্রস্তাবে ভোটে ‘অনুপস্থিত’ থাকায় সমালোচনার মুখে ইরানি দূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন সংস্থায় নিয়োজিত ইরানের দূত। ভোট দিতে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় ইরানের আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞরা সমালোচনা করছেন ইরানি দূতের।

ইরানের এমপি কাসিম মিরজাই জানান, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দূতের কাছে জাতিসংঘের ভোটে অনুপস্থিত থাকার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে সেটাকে তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আইএসে আচরণের মতোই উল্লেখ করেন।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদিক জিবাকালাম ইরানি দূতের ভোটে অনুপস্থিত থাকাকে দুঃখজনক ও অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে দূতের অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, ইরান নিজেকে মুসলিমদের রক্ষক দাবি করার পরও কেন এই ঘটনা ঘটলো।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র বাহরাম কাসিমি জানান, ভোটের অধিবেশনে ইরানি দূতের অনুপস্থিতি ‘কারিগরি’ কারণে হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, যদিও ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের কাছে দেওয়া এক নথিতে খসড়া প্রস্তাবটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

কিন্তু নিউ ইয়র্কে ইরানি মিশন জানিয়েছে, থার্ড কমিটিতে প্রস্তাব পাসের কাঠামোর প্রতিবাদে ইরানের দূত অনুপস্থিত ছিলেন।

২৫ ডিসেম্বর ১২২টি দেশ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। রাশিয়া, চীন ও সিরিয়াসহ দশটি দেশ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) দায়ের করা ওই প্রস্তাবে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নিয়োগের জন্য আহ্বান রাখা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইন সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। রাখাইনে সামরিক অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। চীনও দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের পক্ষে। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে