বুধবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:১৯:১৪

ছেলেদের আটকের প্রতিবাদে অনশনে প্রিন্স তালাল

ছেলেদের আটকের প্রতিবাদে অনশনে প্রিন্স তালাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবে সংস্কারের ডাক দিয়ে ‘দুর্নীতিবিরোধী’ অভিযানের নামে গণহারে দেশটির প্রিন্স ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আটকের ঘটনায় সৃষ্ট অস্থিরতা এখনও কাটেনি।
 
এরই মধ্যে তথাকথিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছেন ধনকুবের প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালালের বাবা ৮৬ বছর বয়সী প্রিন্স তালাল বিন আবদুল আজিজ। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।

প্রিন্স তালালের তিন ছেলে বর্তমানে আটক রয়েছেন। এর প্রতিবাদে ১০ নভেম্বর থেকে তিনি না খেয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।

৪ নভেম্বর শুরু হওয়া দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত সৌদিতে প্রায় দুই শতাধিক প্রিন্স ও প্রভাবশালী ব্যক্তি আটক হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযানে ধরা পড়েন প্রিন্স তালালের বড় ছেলে ধনকুবের আলওয়ালিদ বিন তালাল।

টুইটারের মতো বড় বড় কোম্পানিতে তার বিনিয়োগ রয়েছে। কিংডম হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান আলওয়ালিদ বিন তালাল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী। ব্লুমগবার্গ ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, তার সম্পদের পরিমাণ ১৯০০ কোটি ডলার। যুবরাজ সালমানের অভিযানের প্রথম দিন থেকেই আটক আছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, যুবরাজের দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষ তার মুক্তির বিনিময়ে পুরো কিংডম হোল্ডিং লিখে নিতে চায়। তা দিতে অস্বীকার করে আসছেন আলওয়ালিদ।

এ বিষয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে বিচারের মুখোমুখি হতে চান আলওয়ালিদ বিন তালাল।

আলওয়ালিদ বিন তালালের মুক্তির তদবির করতে গিয়ে তার ছোট ভাই খালিদও আটক হন। এর পর তার ছোট ভাইকে মারামারি করার অভিযোগে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে অনশন শুরু করে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিন্স তালাল। এক মাসের অনশনে এখন পর্যন্ত ১০ কেজি ওজন হারিয়েছেন তিনি।

সৌদি বাদশাহ সালমানের এই সৎভাইয়ের শরীরে গত সপ্তাহে নল দিয়ে খাওয়ানো শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। বাদশাহ ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই প্রিন্সের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

প্রিন্স তালাল স্বাধীনচেতা মনোভাবের জন্য সুপরিচিত। বাদশাহ সৌদের শাসনামলে ১৯৫৩ থেকে ৬৪ পর্যন্ত সময়কালে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

'৬০-এর দশকে তিনি স্বেচ্ছাচারী রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানোর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে রেড প্রিন্সের পরিচিতি পান। তবে রাজপরিবার ওই আন্দোলনকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে কায়রো নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। পরে মায়ের মধ্যস্থতায় দেশে ফেরেন তিনি।
৩ জানুয়ারি ২০১৮/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে