আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবে বাদশাহ’র প্রাসাদে প্রতিবাদ এবং প্রাসাদ ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করায় পুলিশ ১১ প্রিন্সকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার স্থানীয় সাবক অনলাইন নিউজকে কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সৌদি সরকার প্রিন্সদের বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করতো। বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিল পরিশোধ বন্ধ করার নির্দেশ দিলে এসব প্রিন্স তার প্রতিবাদ জানায়।
এছাড়া তারা হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত একজন প্রিন্সের গত বছরের ফাঁসির ক্ষতিপূরণও দাবি করে।
সৌদিতে আটক ২৩ জনের মুক্তি:
দুর্নীতির অভিযোগে আটক দুই শতাধিক ধনী ও প্রভাবশালীর মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব। কয়েক দিনের মধ্যে আরো অনেককে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানা গেছে। সৌদি সংবাদমাধ্যম ওকাজ এ তথ্য জানিয়েছে। গত নভেম্বরে রাজপরিবারের সদস্যসহ সরকারের প্রভাবশালী দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। এসব ব্যক্তিকে রিয়াদের বিলাসবহুল রিৎজ কার্লটন হোটেলে আটক রাখা হয়। চলতি মাসের প্রথম দিকে খবর বের হয় অর্থের বিনিময়ে এদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টি ভাবছে সৌদি প্রশাসন। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ওকাজ ২৩ জনের মুক্তির কথা জানিয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো অনেককে মুক্তি দেয়া হবে। যারা অভিযোগ অস্বীকার করে অর্থ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছে ওকাজ। সদ্য মুক্তি পাওয়াদের একজন হচ্ছেন সৌদি টেলিকমের সাবেক প্রধান নির্বাহী সৌদ আল দাউইশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার হাস্যোজ্জ্বল ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এতে তিনি বলেছেন, ‘প্রাইভেট অ্যাফেয়ার্স (রাজকীয় আদালতের একটি শাখা) আমাদেরকে রাতদিন রান্না করা ভেড়ার গোশত সরবরাহ করেছে। তারা আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেছে ও ভালো সেবা প্রদান করেছে।’
রিয়াদের রিৎজ কার্লটন হোটেলে আটক আছেন সবাই। মুক্তিপ্রাপ্তদের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে সরকার। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক খবরে দাবি করা হয়েছিল যে, সৌদি আরবের শীর্ষ ধনী ওয়ালিদ বিন তালালের কাছে মুক্তির জন্য ৬০০ কোটি ডলার দাবি করেছিল সরকার। ব্লুমবার্গের মতে তালালের সম্পদের পরিমাণ ১৮০০ কোটি ডলার।
যুবরাজ সালমানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিন্স মিতাব আবদ্ল্লুাহ ১০০ কোটি ডলার দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক সবার সাথেই সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। ৪ নভেম্বর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে দেশটির বেশ কয়েকজন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৩২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আর আটক রয়েছেন ১৫৯ জন। অভিযোগ ওঠে যে, রাজপরিবারে নিজের কর্তৃত্ব সুসংহত করতেই এই অভিযান চালিয়েছেন যুবরাজ বিন সালমান। তবে তা অস্বীকার করেছেন তিনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস