মঙ্গলবার, ০৮ মে, ২০১৮, ১০:০৯:২৮

প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে নববধূকে যেভাবে দিতে হয় কুমারীত্বের পরীক্ষা

প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে নববধূকে যেভাবে দিতে হয় কুমারীত্বের পরীক্ষা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘কানজারভাত’। ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভাতনগরের একটি সম্প্রদায়। দেশটির আর দশটির রাজ্যের মতোই সেখানে বিয়ে-শাদি হয়ে থাকে। তবে নারীদেরকে বিয়ের পর দিতে হয় এক অগ্নিপরীক্ষা। কুমারীত্বের পরীক্ষা। কয়েকশ বছর ধরেই এই রীতি অনুসরণ করে আসছে কানজারভাতরা।

প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে নববধূকে যেভাবে দিতে হয় কুমারীত্বের পরীক্ষা:- জানা গেছে, সাদা কাপড় পরিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হয় বর ও কনেকে। পরে কোনো ঘরে সেই দম্পতিকে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন বিয়েবাড়ির লোকজন।

ঘর থেকে বেরিয়ে নববধূ যদি দেখাতে পারেন, তার কাপড়ে রক্তের দাগ; সেক্ষত্রে তাকে বরণ করে নেন সবাই। অন্যথায় ওই বধূর দুর্দশার শেষ থাকে না। এছাড়া বিয়ের পরদিন সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ লোকজন বরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বরের কাছে তারা জানতে চান, তার বউ খাঁটি ছিল কিনা? বরের উত্তরের ওপর নির্ভর করে বধূর ভাগ্য।

তবে কয়েকশ বছরের পুরনো এই রীতি ভেঙে কুমারীত্বের পরীক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য সরব হয়েছে নতুন প্রজন্ম। সেখানে তরুণ-তরুণীরা গড়ে তুলেছে একটি আন্দোলন। নারী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন তারা।

প্রিয়াঙ্কা তামাইচিকার নামে এক নারী বলেন, প্রতিবাদ করাটাকে পরিবর্তনের শুরু বলে মনে করছি। আমি মনে করি, আমার সম্প্রদায়ে শুধু আমিই একমাত্র তরুণী, যে মনে করে এই পরীক্ষা সঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন, আমি একজন নববধূকে মারপিট করতে দেখেছি। আমি দেখেছি, নারীরা তাদের রক্তাক্ত কাপড় দেখার জন্য ঘরে ঢুকছেন। আমার এই জীবনে আমি মনে করি, একদিন আমরা মুক্তি পাবো এবং তাদের দেখিয়ে দেবো যে তারা ভুল। একদিন আমি এমন কিছু করবোই।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে