আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২২ গজ কাঁপানো ইমরান খান ২২ বছর সাধনা করে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু দেশ চালানোর দায়িত্ব পেয়ে চার-ছক্কা দূরের কথা, মাঠে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর। দেশ চালানোরই টাকা নেই ইমরান খানের রাজভাণ্ডারে।
উপায়ান্তর না পেয়ে পারফর্মেন্স ধরে রাখতে অন্য দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের দিকে নজর দেন ইমরান খান। চীন বহু আগেই তাকে সহায়তার ঘোষণা দিলেও নগদ অর্থ এখনো মেলেনি। এতে যারপরনাই বিপাকে ছিলেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিপাকে থাকা সৌদি আরবের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছেন ৬০০ কোটি ডলার দেবে। ২৩ অক্টোবর রিয়াদে রিৎজ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটির 'ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সম্মেলন-এ গিয়ে নিজে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে সৌদি আরব থেকে এই অর্থ পাওয়া নিশ্চিত করেন তিনি।
এরপর গত সপ্তাহে তুরস্ক সফর করেছেন ইমরান খান। সফরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে একান্তে মিটিং করেন তিনি। এর পরই তুর্কি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এরদোগান।
এর আগে গত নভেম্বরে কোলাকোলা কোম্পানির তুর্কি শাখা আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে প্রায় ১৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে তুরস্ক সফর শেষ করতে না করতেই সুখবর দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। । বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় ৬.২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে আরব আমিরাত।
এ প্যাকেজের আওতায় রয়েছে ৩.২ বিলিয়ন মূল্যের তেল যা বাকিতে পরিশোধযোগ্য। এ ছাড়া তিন বিলিয়ন নগদ পরিশোধ করবেন।
পাকিস্তান দুই বন্ধু দেশ থেকে সব মিলিয়ে তেল ও গ্যাস আমদানিতে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার বাঁচাতে পারবে। এটা দেশটির বার্ষিক তেল আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি।
মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতি বর্তমানে দুই ভাবেগ বিভক্ত। সৌদি আরবের নেতৃত্বে রয়েছে আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন। অন্যদিকে সরাসরি সৌদি বিরোধী অবস্থানে রয়েছে ইয়েমেন, ইরান ও কাতার। এছাড়া তুরস্ক ভারসাম্য রেখে চলার চেষ্টা করছে।
তবে রাজনীতির এই বিভাজন যেন ছুঁতেই পারেনি ইমরান খানকে। তিনি একাধারে, সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, আরব আমিরাতসহ অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নীত করছেন। একই সঙ্গে নিজ দেশের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সবার থেকেই দাঁও মারছেন।