আন্তর্জতিক ডেস্ক : যতই রাত বাড়ছে ততই যেন চারদিক হিমশীতল হয়ে আসছে। কুয়াশা ক্রমেই ঘন হতে শুরু করছে । কিন্তু তাতে কি? মুসলিমদের অধিকার আদায়ের কাছে এই কনকনে শীত যেন কিছুই না। আর তাইতো, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশি তাণ্ডবের পর থেকেই নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে শাহিনবাগে অবস্থান বি’ক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় মুসলিম মহিলারা।
শুধু তাই-ই নয়, এ সঙ্গী শিশু-বৃদ্ধ-শিক্ষারথী সবাই। এক ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে এক মায়ের জবাব, ‘‘হাবিবা বড় হয়ে বলবে, আমাদের উপরে যখন অন্যায় হচ্ছিল, তুমি কী করছিলে আম্মি? ওকে কী বলব তখন? সংবিধান বাঁচাতে হবে। বসতেই হবে।’’
আ'ন্দোলন আর বি’ক্ষোভ দিয়েই শুরু হচ্ছে তাদের নতুন বছর। শাহিনবাগে আজ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পার্টি। ‘‘নাচ-গান, আবৃত্তির মাধ্যমে নতুন বছরকে আহ্বানের পাশাপাশি এ হল গণতন্ত্র ও সংবিধানকে বাঁচানোর ল'ড়াই’’, বললেন জামিয়ার ছাত্রী রুকসানা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বললেন, ‘‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি মানা যায় না। তাই নতুন বছরের শুরুটা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই করতে চাই।’
নব্বই বছরের এক বৃদ্ধা ছিলেন আজ শাহিনবাগের নতুন মুখ। দিল্লির প্রবল ঠান্ডা তাঁকে কাবু করতে পারেনি। ঠায় বসে রয়েছেন গত কয়েক দিনের মতোই। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘আমি ভারতীয় কি না, তার প্রমাণ কাউকে দিতে যাব কেন? এই দেশ আমার। মোদী ও তাঁর দলবল আসুক জানতে, আমি বুঝিয়ে দেব।’’