আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এনআরসির আ'ত'ঙ্কেই তিনি আত্মহ'ত্যা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝে এক ব্যক্তির আত্মহ'ত্যার পরে এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুধু জলপাইগুড়ি জেলাতেই ছ'জনের মৃ'ত্যুতে এনআরসি আ'ত'ঙ্কের কথা বলা হয়েছে। মৃ'তের বাড়ি ডুয়ার্সের ক্রান্তি ফাঁড়ির অন্তর্গত চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব দোলাইগাঁও গ্রামে।
তার বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডে নাম ভুল ছিল। 'নাগরিকত্ব প্রমাণ করা'র মতো জমির কাগজপত্রও তার কাছে ছিল না। গত কয়েক মাস ধরে এনআরসি সংক্রান্ত নথিপত্র জোগাড় করা নিয়ে মানসিক উদ্বে'গের মধ্যে ছিলেন পেশায় দিনমজুর আবদুল কাশেম (৩৮)।
মানসিক অ'বসা'দ তাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। অ'বসা'দগ্র'স্ত হয়ে মাঝে মাঝেই এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে তিনি জানতে চাইতেন, তার কাছে উপযুক্ত কাগজপত্র নেই বলে তাকে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হবে না তো?
আব্দুল কাশেমের স্ত্রী আনসুরা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন গতকাল সন্ধ্যায় তারা সকলে মিলে টিভিতে খবর দেখছিলেন। ওই সময় টিভিতে এনআরসি সংক্রান্ত কিছু দেখাচ্ছিল। এরপর তার স্বামী হঠাত্ উঠে পড়ে বলেন, 'আমার বেঁচে থেকে লাভ নেই।'
একথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান। অনেকক্ষণ পর বাড়ি না ফেরায় খোঁ'জাখুঁ'জি শুরু করেন বাড়ির লোকজন। বাড়ির কাছে একটি গাছে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝু'ল'ন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশ দে'হ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এফআইআরে তিনি লিখেছেন, 'আমার স্বামী এনআরসি আ'ত'ঙ্কে আ'ত্মঘা'তী হয়েছে। এর দায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের।' জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার ত'দ'ন্ত শুরু করেছে।
এই নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় গত সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে আজ অবধি ছ'জন এনআরসি আ'ত'ঙ্কে আ'ত্মঘা'তী হয়েছে বলে অ'ভিযো'গ। ২০ সেপ্টেম্বর আ'ত্মঘা'তী হন ময়নাগুড়ির অন্নদা রায়। ধূপগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল রায় ও জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার সাবেদ আলি দু'জনেই আ'ত্মঘা'তী হন ২৪ সেপ্টেম্বর।
২৩ অক্টোবর মাল মহকুমার ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা দেবারু মহম্মদ আত্মঘা'তী হন এনআরসি আ'ত'ঙ্কে। ৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আ'ত্মঘা'তী হন। ২০২০ সালে বছরের প্রথম দিন আ'ত্মঘা'তী হলেন ক্রান্তির দলাই গাঁওয়ের আব্দুল কাশেম।