আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সং'শো'ধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-কে একেবারেই সমর্থন করছেন না সদ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দম্পতি অভিজিত্ বিনায়ক ব্যানার্জী ও এস্থার দুফলো।
তাদের মনে হয়েছে এই দুটি বিষয় দেশের পক্ষে আদৌ মঙ্গলজনক নয়। এ নিয়ে তারা নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ক'টা'ক্ষও করেছেন। তাদের অভিমতে, 'ন্যূনতম সরকার' বা 'সর্বোচ্চ সুশাসন'-এর লক্ষণ নয় এই সিএএ এবং এনআরসি। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, যারা দেশের অগ্রগতিতে শরিক হতে চান, তাদের কেন সঙ্গে নেওয়া হবে না।
গত কয়েকদিন ধরে গোটা দেশ সিএএ নিয়ে উ'ত্তা'ল। দেশের নানা প্রান্তে বি'ত'র্ক-প্র'তিবা'দ-আন্দো'লন অব্যাহত রয়েছে। শাসক-বিরো'ধীরা বিশেষত, ছাত্র-যুব সমাজের একটা বড় অংশ এই নয়া আইনের বি'রু'দ্ধে পথে নেমেছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে লেখা নিবন্ধে অভিজিত্ এবং এস্থার সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেউ যে দেশে সারা জীবন কাটিয়ে দেখে সেই দেশের নাগরিক বলে গণ্য হচ্ছেন না, সেখানে কেউ তাকে চাইছে না— তা হলে সেই ব্যক্তি কে? যা যুব সমাজকে হ'তা'শ করছে। এর মাধ্যমে নাগরিকের মৌলিক অধিকারে সরকারি হ'স্তক্ষে'প করছে বলে তাদের মনে হয়েছে।
নোবেলজয়ী দম্পতি ব্যাখ্যা করেছেন আর্থিক কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া অ'দ'ক্ষ শ্রমিকদের জন্য যে কম দক্ষ লোকজনের উপার্জনে মোটের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। এর আংশিক কারণ হল, অর্থনৈতিক অভিবাসীরা যে কোনও কাজই গ্রহণ করে নেন। তা ছাড়া ওই শ্রমিকেরা যেমন শ্রম বেটটছেন তেমনই আবার উপার্জিত অর্থে ভোগ্যপণ্যও কিনে থাকেন।
অভিজিত্ এবং এস্থার মনে হয়েছে পুরো ঘটনায় মধ্যবিত্তের কাছেই এখন আসল চ্যা'লে'ঞ্জ যেহেতু তারা চাকরি নির্ভর। মূলত সরকারি চাকরি করে থাকেন। মধ্যবিত্তেরা আ'শং'কা করছেন এই অভিবাসীরা তাদের চাকরিতে ভাগ বসাচ্ছে।
তারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি এখনও অপ্রতুল। যা খা'রা'প সরকার পরিচালনার নমুনা। কারণ ২০১৯ সালে ভারতীয় রেলে ৬৩ হাজার পদের জন্য ১ কোটি ৯০ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন।
অভিজিত্ ও এস্থার মনে হয়েছে, এই স'ম'স্যার দ্রু'ত মোকাবিলা প্রয়োজন। নইলে স্থানীয় স্তরে মানুষের আর্থিক বিষয়ের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা দেখা দেবে যে ক্র'ম'শই মা'রা'ত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
দুই অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন, এমন হলে চেন্নাইয়ে বসবাসকারী বাঙালি সন্তানেরা আদৌ সে রাজ্যে সরকারি চাকরির দাবি করতে পারবে কি? কিংবা মহারাষ্ট্রে বড় হয়ে ওঠা বিহারি পরিবারের ছেলেমেয়েদেরই বা কী হবে?
এই দুই অর্থনীতিবিদের যুক্তি, এই ১৩০ কোটি মানুষের দেশে কিছু মানুষ না হয় এই মহামানব-সমুদ্রের স্রোতে মিলেমিশে যাবেন। সূত্র : কলকাতা ২৪