আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আ'চ'ম'কা খবর আসে, পাকিস্তানে কর্তারপুর নানকানা সাহিব গুরুদোয়ারায় আটকে পড়েছেন ভারতীয় পুণ্যার্থীরা। বাইরে জড়ো হয়েছে কয়েকশ উত্তে'জিত পাক জনতা। তারা তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে পাথর ছুড়ছে।
এই খবর আসা মাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে আবেদন জানান ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইমরান খানের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তিনি যেন গুরুদোয়ারা নানকানা সাহিবে আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের লাহোর থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিব শহরে ইরাবতী নদীর তীরে অবস্থিত কর্তারপুর গুরুদোয়ারা। তার পুরো নাম গুরুদোয়ারা দরবার সাহিব কর্তারপুর। পৃথিবীর সর্বপ্রথম গুরুদোয়ারা সেটি। তাই ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম।
১৫২২ সালে গুরুদোয়ারাটি স্থাপন করেন প্রথম শিখ ধর্মগুরু। ভারতের পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা নবাব সাহিব রেল স্টেশন থেকে গুরুদোয়ারাটির দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার।
জীবনের ১৮টি বছর ওই গুরুদ্বারেই কাটান প্রথম গুরু নানক। ১৫৩৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সেখানেই তিনি শেষ নিঃ'শ্বা'স ত্যা'গ করেন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। তার একটি সমাধিও রয়েছে সেখানে। তাই প্রতিবছর সেখানে ভিড় জমান ভক্তরা।
দেশভাগের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তি'ক্ত'তা ক্র'ম'শ বাড়লেও, কর্তারপুর গুরুদ্বারের জন্যই আজও সম্পর্কের শেষ সুতোটুকু টিকে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই প্রতিবছর বিশেষ দিনগুলিতে ভারত থেকে হাজার হাজার শিখ পুণ্যার্থী হাজির হন সেখানে।