আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূগর্ভ থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। সংবেদনশীল উপসাগরীয় জলসীমায় সামরিক ম'হড়ার শেষ দিনে এই ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁ'ড়া হয়। আইআরজিসি’র জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে আজ বুধবার বলা হয়েছে, সামরিক ম'হড়ার দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে শত্রুর কল্পিত অবস্থানে আকাশ এবং সমুদ্র পথে হাম'লা চা'লানো হয়।
আইআরজিসি তাদের সিপাহনিউজ ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই জাতীয় মহ'ড়া চালানোর ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। তবে তাদের দাবির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য সরবরাহ করেনি। এমনকি ক্ষেপণা'স্ত্রগুলোর ব্যাপারেও বিস্তা'রিত কিছু বলা হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, দিনের আলোতে পরিচালিত এই ম'হড়ায় মরূভূমির মতো একটা এলাকা থেকে একের পর এক মিসাইলগুলো ছুটে যাচ্ছে। তার আগে আগুনের শি'খা, ধোঁ'য়া এবং ধূ'লিকণা দেখা যায়।
মহানবী (স)-১৪ নামে এ মহড়ার চূ'ড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার এবং ইরানের হরমুজগান প্রদেশ, কৌশলগত হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তা চলে। গতকাল আইআরজিসি দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণা'স্ত্র ছুঁ'ড়েছিল।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিমান সেনারা আধুনিক কলাকৌশল প্র'য়োগ করে এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করে। এর মধ্যদিয়ে শত্রুর সম্ভাব্য হু'মকি মো'কাবেলায় ইরানের এই এলিট ফোর্সের সামরিক সক্ষমতার চিত্র ফুটে ওঠে।
পুরনো শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তী'ব্র উ'ত্তেজনার মধ্যে এই সামুদ্রিক সামরিক মহ'ড়া চালালো ইরান। যেখানে জলপথে যু'দ্ধের কৌশল ও ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একত'রফাভাবে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উ'ত্তেজনা আরো বেড়েছে। সূত্র : আল আরাবিয়া।