আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাছের একজন সহকারী হোপ হিকস করোনা ভাইরাস রো'গী শনা'ক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডিও কোভিড-১৯ পজি'টিভ শ'না'ক্ত হয়েছেন। কিন্তু হোপ হিকস বিশেষভাবে পরিচিত কোন ব্যক্তি নন।
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ৩১ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল আলোচনার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালকের পদে নিয়োগপ্রাপ্তির ১০ দিনের মাথায় অ্যান্থনি স্ক্যারামুচ্চি ব'রখা'স্ত হলে হোপ হিকস সেই পদে নিয়োগ পান।
রাজনীতিতে তার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু এর আগের পাঁচ বছর ধরে ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশ উ'ত্থা'ন প'ত'ন রয়েছে। এর আগে তাকে এক দায়িত্ব থেকে প'দত্যা'গ করার কিছুদিন পরে আবার অন্য দায়িত্বে ফিরে আসতে দেখা গেছে।
তাহলে কীভাবে এরকম আলোচনার বাইরে থাকা একজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাকরিগুলোর একটিতে নিয়োগ পেলেন? হোপ হিকসের জনসংযোগ পেশা শুরুর করার সময় যেসব প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহক ছিল, তাদের একটি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন কোম্পানি।
রালফ লরেন পোশাকের মডেলিংয়ের পাশাপাশি ইভাঙ্কা'স কাপড়-চোপড়ের মডেল হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কাজ করার কারণে একসময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজরে আসেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে নিজের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জনসংযোগ কাজের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তাকে বেছে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন, হোপ অসাধারণ একজন কর্মী।
২০১৫ সালের প্রথম দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সফরে যাওয়ার পর থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহের মধ্যে ঢু'কে যান। সেটা ছিল ট্রাম্পের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচা'রণা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট পরিচালনায় হোপ হিকস সহায়তা করেন। তিনি যা বলতে চাইতেন, তাই তিনি করতেন এবং ট্রাম্পের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেটা করতে বলতেন।
যখন প্রচারণা জমে ওঠে, তখন তার সামনে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, তিনি কি পূর্ণকালীন রাজনৈতিক প্রেস সচিব হিসাবে কাজ করবেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাজে ফিরে যাবেন? তিনি দ্বিতীয় বি'ক'ল্প বেছে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার তাকে ব্যক্তিগতভাবে তার রাজনৈতিক দলে থাকার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে তিনি রাজি হন।
হোক হিকস নিজে থেকে কখনো খুব একটা বক্তব্য দেন না, যদিও সাংবাদিকরা যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন, তখন তিনি কাছাকাছিই থাকেন। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচা'রণার কাজ শুরু করেন, তখন তিনি নিজের টুইটার একাউন্ট মুছে ফেলেন। তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টও ব্যক্তিগত করে রাখা হয়।
যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তিনি হোপ হিকসের জন্য নতুন একটি দায়িত্ব তৈরি করেন। সেটি হলো হোয়াইট হাউজের কৌ'শলগত যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক। তার কাজের ধ'র'ণটা হলো, প্রেসিডেন্টকে কোন কাজে বা'ধা দেয়া বা পরিবর্তনের চেষ্টা না করা, বরং শুধুমাত্র তিনি যা করতে চান, সেটাই করতে সহায়তা করা।
পলিটিকোর একটি নিব'ন্ধ অনুযায়ী, ট্রাম্প পরিবারের একান্ত ঘনি'ষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির একজন হোপ হিকস। তিনি এমনকি ইহুদি ধর্মের বিশেষ খাবার, শাবাত ডিনারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে অংশ নেন। ২০১৭ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের একজন ছিলেন হোপ হিকস।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, মাঝেমাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে তিনি 'সাদা' মি'থ্যা বলে থাকেন। পরদিন তিনি হোয়াইট হাউজ থেকে প'দত্যা'গ করেন। এরপরের কিছুদিন তিনি ফক্স নিউজে কাজ করেন। তবে এই বছরের শুরুর দিকে আবার ফিরে আসেন। তার ফিরে আসার কারণ খুবই সহজ, 'তিনি প্রেসিডেন্টের অনেক গো'পন ত'থ্য জানার পরেও, কথা বলেন খুবই সামান্য'। সূত্র : বিবিসি