হোয়াইট হাউসে তখন ইজরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। সেসময়ই কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে প্রথম আত্মঘাতী হামলার খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। দ্রুত নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছে সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ নিতে শুরু করেন।
কিছুক্ষণ পরেই বিমানবন্দরের অদূরে ব্যারন হোটেলের সামনে দ্বিতীয় হামলা হয়। সেইসঙ্গে ভিড়ের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর খবর। ফলে আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায় এক লহমায়।
কারণ, বিমানবন্দরের প্রবেশপথ এবং বেড়ার পাশে ভিড় ছিল আফগান আমজনতার। তালেবানের কাবুল দখলের পর প্রাণভয়ে তারা দেশ ছাড়তে মরিয়া। আর ওই বিলাসবহুল হোটেলে ঠাঁই নিয়েছেন আফগানিস্তান ত্যাগ করতে যাওয়া আমেরিকার নাগরিকদের অনেকে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি টুইটারে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি ১২ মার্কিন সেনা নিহত এবং ১৫ নেসা আহত হয়েছে।
আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, বিস্ফোরণে আমেরিকার সেনাসহ কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছে। এই নাশকতার পিছনে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) হাত রয়েছে বলেই জানিয়েছে ওয়াশিংটন এবং তালেবান।