আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে এই অভিযানে বৈধ অভিবাসীরাও গ্রেফতার হচ্ছেন যদি তারা পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারলাইন লেভিট জানিয়েছেন, আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসবাসরত এক বাংলাদেশিও গ্রেফতার হয়েছেন। সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। বর্তমানে তাকে পেনসিলভেনিয়ার এক ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
বিগত ১০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ১০১৬ জন অভিবাসী গ্রেফতার হয়েছেন। একই দিনে সীমান্ত পার হওয়ার সময় আরও ৮১৪ জন আটক হন। বস্টন, ওহাইও, নিউজার্সি ও মিশিগানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। গ্রেফতার আতঙ্কে জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে অনেক বাণিজ্যিক এলাকা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিউইয়র্কের পাতাল রেলেও যাত্রীসংখ্যা কমেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস ও ইপসোসের জরিপে ৫৫% আমেরিকান ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতি সমর্থন জানালেও ৮৮% বলেছেন, কেবল গ্রেফতার ও বহিষ্কার করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তারা অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসনের দাবিতে ইতোমধ্যে এক লাখ আমেরিকান স্বাক্ষর করেছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, গত ১০ দিনে গ্রেফতার হওয়া বেশিরভাগ অভিবাসীকে বিশেষ বিমানে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আগে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসীদেরও বহিষ্কার করা হবে যাতে নতুন কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা না ভাবে।