বিনোদন ডেস্ক: দেশ কাঁপানো পর পর দুটো সিনেমায় এখন তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্বয়ং বাহুবলী প্রভাস। মাত্র চার দিনেই ৬০০ কোটির ক্লাবে ঢুকেছে এই ছবি। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসতে হাসতে ১০০০ কোটির চৌকাঠ পেরবে বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন। কখনও অভিনয়, কখনও স্পেশ্যাল এফেক্টস, কখনও গ্রাফিক্সের কাজ, ছবির চিত্রনাট্য— আলোচনা যেন থামছেই না।
তবে সব ছাড়িয়ে লাইমলাইটে এখন শুধুই প্রভাস। বাহুবলীতে সই করে চার বছর অন্য কোনও ছবি হাতে নেননি। শুধুমাত্র এই কারণেই পরিবার আর বন্ধুদের বিরাগভাজনও হয়েছিলেন। বাহুবলী ২-তে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রভাস। ফলে দুই ধরনের লুকে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। একই ছবিতে আলাদা আলাদা লুক আনতে নাকি প্রচণ্ড পরিশ্রমও করেছেন নায়ক।
সম্প্রতি পরিচালক রাজামৌলি জানিয়েছেন, ছবির প্রস্তুতির এই সময়টায় নাকি কোনও টাকা নেননি প্রভাস। ফলে বাহুবলী ১: দ্য বিগিনিংস এবং বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন-এর শুটিংয়ের মোট চার বছর মারাত্মক অর্থকষ্টে ভুগেছেন তিনি।
রাজামৌলি আরও জানান, প্রযোজকরা প্রায়ই তাঁর বাড়িতে চেক নিয়ে যেতেন। কিন্তু কখনওই তা গ্রহণ করেননি প্রভাস। এমনকী এই সময়ে ১০ কোটি টাকার একটি বিজ্ঞাপনের অফারও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক জানান, ছবি থেকে কোনও ভাবেই যাতে মনোসংযোগ নষ্ট না হয়, সে দিকেই একমাত্র নজর ছিল প্রভাসের।
৪ মে ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস