সোমবার, ০৮ মে, ২০১৭, ০৮:৫৯:১১

আটে আটে ১৭ কেন হবে : ওমর সানী

আটে আটে ১৭ কেন হবে : ওমর সানী

বিনোদন ডেস্ক: আটে আটে যোগ করলে সব সময় ১৬ হয়। কিন্তু ১৭ কেন হবে। বললেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য ভোটে সভাপতি প্রার্থী ও অভিনেতা ওমর সানী।

সোমবার বিকেলে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওমর সানী বলেন, নির্বাচনের ফলাফলে কেন আটে আটে ১৭ হলো? কিসের জন্য এই অসংগতি সেটা আমাকে পরিস্কার করতে হবে। আমার কোনো অভিযোগ নেই।

উল্লেখ্য, মোট কাস্ট ভোট ও প্রার্থীদের প্রাপ্তভোটে মিল না থাকায় তিনি পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেন।

গুণী এই অভিনেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড যদি আটে আটে ১৭ কেন হলো সেটা পরিস্কারভাবে যদি বোঝাতে পারে  তাহলেই হয়ে যাবে। আমি সেটাতেই খুশি, আমার চাওয়া এতোটুকুই।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন তারা আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও কাছের মানুষ। আমি তাদের কাছে ন্যায় বিচার চাইতেই পারি। আমার বিশ্বাস তারা সঠিক কারণ জানাবেন।

শিল্পী সমিতি আমার প্রাণের ঘর। যাদের সঙ্গে আমার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে তারাও শিল্পী আমিও শিল্পী। আমাদের মধ্যে কোনো বিতর্ক নেই। আমরা সবাই এক।

ওমর সানি বলেন, কেউ যদি শিল্পী সমিতিকে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চিরতার্থ করতে ব্যবহার করে আমি সেটি হতে দিতে পারি না। এজন্যই ভোট ফের গণনার আপিল করেছি আমি। আমাকে আপিল বিভাগ কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টায় ডেকেছে। অবশ্যই আমি যাবো।

ভোট গণনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন একটা কাজে উত্তরাতে আছি। এ বিষয়ে এখনও আমাকে কিছু জানানো হয়নি, তাই এখন কিছু বলতে পারছি না।

গেলো ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়। পরের দিন ৬ মে সকালে বিএফডিসিতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কমিশনার।

এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৫৯ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর সানি পেয়েছেন ১৫৩ ভোট। নির্বাচনের দু’দিন পর ওমর সানি ফলাফল বাতিলের লিখিত আবেদন করেন আপিল বোর্ডের কাছে।

ওমর সানি জানিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল সুষ্ঠু হয়নি বলে আমি মনে করছি। তাই পুনরায় ভোট গণণার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে ওমর সানি অভিযোগে বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৮টি। এরমধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। মোট ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ কেননা সভাপতি তিনজনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯ টি ভোট হওয়া উচিৎ। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি।

অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সঙ্গে মিলে না, যেমন কার্যনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিৎ (৫১১*১১)= ৫৬২১টি। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৫৬৬৫। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি বেশি ভোট কোথা থেকে এলো? এমনকি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি কিন্তু হওয়া উচিৎ ৪৬৯টি।-আরটিভি
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে