বিনোদন ডেস্ক : একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবনে। প্রথমে খবরে এলো- তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। এর একদিন পরই অভিনেত্রীর প্রথম সিনেমার পরিচালকও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) আরও একটি কারণে কষ্টের ছিল পরীমণির জীবনে। ঠিক এক বছর আগে এইদিনেই তার নানুকে হারিয়েছেন। একইদিনে সিনেমার পরিচালকও পরীকে ছেড়ে গেলেন।
যার হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন সেই মানুষটিকে হারিয়েই যেন পরীমণি ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও....মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’
পরীমণি কষ্ট পেয়েছেন আরও একটি কারণে। তার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর যেভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, বিষয়টি অভিনেত্রীর মনে আঘাত দিয়েছে।
পরী জানালেন, ইসমাইলের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক না থাকলেও, একসঙ্গেই বড় হয়েছেন দু’জন। নিজ বাড়িতে গিয়ে এমন খবর শুনবেন তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। যদিও সে আমার চেয়ে বয়সে ৫-৬ বছরের বড়। যে কারণে দুজনের সম্পর্কটা দারুণ ছিল। বাড়িতে গেলাম যখন, সেদিনই মা বলল, ইসমাইল বাইক এক্সিডেন্ট করেছে। আমি তো অবাক। পরে জানতে পারলাম, সে মারা গেছে।’
পরী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এসছিলাম নানুর একবছরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। আর এসে ওর মৃত্যু খবর শুনলাম।’
ইসমাইল নায়িকার প্রথম স্বামী। তখনও তিনি পরীমণি পরিচয় পাননি। কেবল একজন সাধারণ তরুণী। সেই বিয়ে টেকেনি। তারপর একাধিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবুও ইসমাইলের মৃত্যুর পর আবারও আলোচনায় তাদের সম্পর্ক।
যা নিয়েই বেশ আপত্তি পরীর। তিনি বলেন, ‘আমদের সংসার পরিবার সব আছে। একটা মানুষের মৃত্যুর পর যেভাবে আমাকে জড়িয়ে খবর করা হচ্ছে, এভাবে আমরা কি অসম্মান করার অধিকার রাখি? এভাবে যদি খবর করতে হয়, আমিও তো মানুষ। আমারও তো আবেগ আছে। আমার কষ্ট হয় না? একটু ভিউয়ের আশায় আমরা এমন করব? মানবিক মূল্যবোধ কি নেই আমাদের?’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নিহত হন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পাচ্চর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাতে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি ছোট শৌলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।