বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার ‘পরমা’ ও পদ্মা নদীর মাঝি’ খ্যাত অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। রোববার ঘটে এ ঘটনা। রূপাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিজিপি কর্মীদের উপর হামলে পড়েন তৃণমূলকর্মীরা। এসময় বিজিপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী নিজ দলীয় কর্মীদের রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে তৃণমূল। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না-যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনাচক্রে, রবিবারে এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এক সারিতে এসে দাঁড়ায়িছেন রূপা এবং দিলীপ। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মিছিল হবে বলেও জানিয়েছেন দিলীপ।
সূত্র বলছে, কাকদ্বীপের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ায় শনিবার বাসনা মাঝি নামে এক মহিলাকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাসনা ছাড়াও তার বাবা এবং বোনকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনজনই কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন ওই মহিলাকে দেখতে কাকদ্বীপ হাসপাতালে যান রূপা। সেখান থেকে কাকদ্বীপের সূর্যনগরের মাঝিপাড়ার বাড়িতে বাসনার বোন এবং মা’কে পৌঁছে দিতে যান রূপা। বিজেপি নেত্রী নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
বিজেপি’র দাবি, গ্রামে ঢোকার পর রূপার গাড়ি বেরিয়ে গেলেও পিছনে থাকা আরও দু’টি গাড়ি ঘিরে ফেলেন অভিযুক্তেরা। তা দেখে রূপা গাড়ি থেকে নামতেই অভিনেত্রী-রাজনীতিকের দিকে তেড়ে আসেন তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। সেই দলে মহিলারাও ছিলেন। রূপার গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজেপি’র অভিযোগ, রূপার শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার গায়ে হাতও তোলা হয়। রূপার সঙ্গে থাকা অন্য দলীয় কর্মীরাও হামলার শিকার হন।
রূপার অভিযোগ, ‘চুলের মুঠি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে তৃণমূলকর্মীরা’। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রূপার মাথায় এবং কোমরে চোট রয়েছে। তবে তা গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে এবং অন্য বিজেপি কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শনিবার রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে বিরোধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছিলেন দিলীপ। এদিনের ঘটনার পরে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে শপথগ্রহণের দিন কালা দিবস হিসাবে পালন করব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাতে শপথগ্রহণে যোগ না দেন, সেই অনুরোধও করব।’
২৩ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন