চাঁদপুর : চাঁদপুরে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগ নেত্রী ও কলেজ অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকাণ্ডে বাবার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের সন্তান ও স্বজনরা। রোববার (১০ জুন) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফেন্সির ছোট মেয়ে ফাতেমা শাহীন পুষ্প লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৪ জুন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে আমার মা অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি তার নিজ বাসায় খুন হন। আমার পিতা অ্যাড. জহির তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সহযোগিতায় নির্মমভাবে আমার মাকে হত্যা করে। আমার মা জীবদ্দশায় ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন এবং তিনি চাঁদপুর মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ছিলেন। আমার মা-বাবার দীর্ঘ ৩২ বছরের দাম্পত্য জীবনে আমরা তিন বোন।
তিনি বলেন, আমার বাবা অ্যাড. জহিরুল ইসলাম অনুমান ৪ বছর আগে জুলেখা বেগম নামে এক বিবাহিতা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননী এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সকলের অগোচরে ওই মহিলাকে বিবাহ করেন। শুনেছি ওই মহিলার গর্ভে তখন একটি কন্যা সন্তান ছিল। আমার বাবার এই অনৈতিক সম্পর্ক ও পরবর্তীতে বিবাহ করা আমার বোনেরা এবং আমার মা কখনোই মেনে নেয়নি। যা নিয়ে আমার মায়ের সাথে আমার বাবার প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো এবং আমার বাবা আমার মাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। আমার বাবা প্রকাশ্যেই আমার মাকে জীবননাশের হুমকি দিতো এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীও মোবাইলে আমার মাকে হত্যার হুমকি দিতো। যা আমার বোনেরা শুনেছি এবং দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, গত ৪ জুন সন্ধ্যায় আমার বাবা পূর্ব পরিকল্পনা মতো তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্ররোচণায় ও সহযোগিতায় খুনের আলামত নষ্ট করে এই খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। খুনের ঘটনার আলামত নষ্ট এবং আগে-পরের নানা ঘটনাই প্রমাণ করে আমার বাবা অ্যাড. জহিরুল ইসলামই আমার মায়ের খুনি। আমার মায়ের খুনির দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের বড় মেয়ে ফারজানা শাহীন পদ্ম, বড় ভাই মো. নঈমুদ্দিন খান, মো. নাছির উদ্দিন খান, ছোট ভাই মো. ফোরকান উদ্দিন খান ও বড় জামাতা আরিফুর খান।