চাঁদপুর: বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে অশান্তি বিরাজ করছে। খুনের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রিয়র হাতের প্রিয়তমা খুন হচ্ছে। বাবা হত্যা করছে ছেলেকে। ছেলের হাতে বাবা খুন হচ্ছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আরো একটি পাষণ্ড ঘটনা ঘটলো। ছেলে মাকে হত্যা করেছে। হত্যার ধরন যে কারো মনে ভয়ানক কষ্ট ধরাবে।
আজ বুধবার সকালে সালেহা বেগম (৮০) নামে বৃদ্ধা মাকে চোখ উপড়ে ও আছড়ে হত্যা করেছে আবুল কালাম বাহার মিজি (৪৫) নামে পাষণ্ড ওই ছেলে। উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মিজিকে আটক করে বুধবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত সালেহা বেগমের জামাতা রুহুল আমিন বাদী হয়েহত্যা মামলা করেছেন।
মামলার বাদী ও নিহতের জামাতা রুহুল আমিন জানান, তার শাশুড়ি মঙ্গলবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর বেলা তার ছেলে মিজি ঘরের দরজায় এসে মাকে ডাকাডাকি করে। বৃদ্ধা মা ছেলের ডাক শুনে দরজা খুলে দিলে সে ঘরে ঢুকেই মায়ের উপর হামলা করে। বেদম পিটুনির এক পর্যায়ে তার মায়ের চোখ উপড়ে ফেলে এবং কোলে তুলে নিয়ে আছাড় দেয়। বৃদ্ধার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রুহুল আমিন আরো জানান, মিজি দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। হত্যাকারী নিজ উদ্যোগে পাবনার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। গত তিন মাস আগে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও সম্প্রতি তার আবার সমস্যা দেখা দেয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মিজি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠান। কিন্তু দেশে ফিরে এসে দেখেন তিনি নিঃস্ব। যে কারণে তিনি মানসিক হতাশায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে তার নিকটজনরাই তার পাঠানো অর্থ নিয়ে গেছে। এই কারণে তার বিয়ে করা স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার এসআই কাজী মো. জাকারিয়া বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।