চাঁদপুর: পথের কাঁটা দূর হলেও শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে ফেঁসে গেছে শালি-দুলাভাই। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গৃহবধূ নাসরিন আক্তার রিভা হত্যা মামলায় স্বামী হযরত আলী ও শ্যালিকা আইরিন আক্তার রেখাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ওই দুইজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এক প্রেসব্রিফিং করে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৮ অক্টোবর ঘটনার রাতে হাজীগঞ্জের পূর্ব হাটিলা বেপারী বাড়িতে হযরত আলী তার শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী নাসরিন আক্তার রিভা (২০) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এসময় আইরিন আক্তার রেখা বোনের পা চেপে ধরে এবং দুলাভাই হযরত আলী বুকের উপর বসে মুখে বালিশ চাপা দেয়। এতে ঘুমন্ত রিভা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান বলে দাবি করেছে পুলিশ।
কিন্তু ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করে হযরত আলী ও রেখা নানা নাটক তৈরি করে পার পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ গৃহবধূ রিভার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তৎপর হলে তাদের সেই অপচেষ্টা ভেস্তে যায়।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির প্রেসব্রিফিং করে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মূলত পথের কাঁটা স্ত্রীকে সরিয়ে শ্যালিকাকে নিয়ে ঘর করার স্বপ্ন দেখেন প্রবাসী হযরত আলী। সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী রিভাকে হত্যা করেন তিনি।
নিহত নাসরিন আক্তার রিভার বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে এই ঘটনার ১০ দিনের মাথায় প্রথমে হযরত আলীকে গত মঙ্গলবার এবং তার শ্যালিকা আইরিন আক্তার রেখাকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, গত বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের বিচারিক আদালতে নিজদের জড়িত থাকার কথা জানিয়ে হযরত আলী ও নাসরিন আক্তার রেখা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।