দিনাজপুর : দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পুর্ব-রামচন্দ্রপুর তালেরডাঙ্গা গ্রাম থেকে দুলাভাই ও শ্যালিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ হোসেন (৪০)। তিনি তালেরডাঙ্গা গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে। তার শ্যালিকা নবাবগঞ্জ উপজেলার চামুন্ডাই গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে সোহাগা বেগম (১৭)।
সোহাগা বেগমের বাবা মন্টু মিয়া জানান, ১৫ বছর আগে তার বড় মেয়ে রোকসানা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফরহাদের। তাদের সংসারে নয় বছর ও সাত বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্য রাতে রোকসানা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পরদিন ১ জানুয়ারি রোকসানার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পরে পুলিশ তদন্তের কাজ শুরু করে। এর পর থেকে গা ঢাকা দেন ফরহাদ। এর মধ্যে চলতি মাসের ২০ জানুয়ারি রোকসানার ছোট বোন সোহাগাকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এই ঘটনায় ২১ জানুয়ারী ফুলবাড়ী থানায় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফরহাদের নামে একটি অভিযোগ করেন মন্টু মিয়া। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সোমবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এসরাকুল বলেন, শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে স্ত্রী রোকসানাকে হত্যার কথা ফরহাদ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, আটক ফরহাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস