দিনাজপুর থেকে : কুমিল্লার আবদুল্লাহ হিল শুভর (২৮) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পঞ্চগড়ের সোনিয়া আক্তারের (২০)। তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর সোনিয়া জানতে পারেন, শুভর আরেক স্ত্রী রয়েছে। বিষয়টি জানার পর সোনিয়া কয়েক দিন আগে তাকে তালাক দিয়ে বাড়ি চলে আসেন।
এরপর থেকে সোনিয়া দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তার বড় বোন মুন্নী আকতারের (২৫) বাসায় থাকতেন। আজ সোমবার আবদুল্লাহ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে সোনিয়াকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন সোনিয়ার বোন মুন্নী। সোনিয়া গুরুতর আহত হন।
সোনিয়ার চিৎকারে এলাকাবাসী গিয়ে আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তারা এক যুবককে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল্লাহ স্বীকার বলেছেন, তালাক দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। নিহত মুন্নী আকতার উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের স্ত্রী।
আমিনুর রহমান জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের পর আবদুল্লাহর সঙ্গে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবদুল্লাহ তার বিয়ের কথা সোনিয়ার কাছে গোপন করেন। বিয়ের পর বিষয়টি জানতে পেরে সোনিয়া তাকে তালাক দিয়ে চলে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল্লাহ সোনিয়াকে হত্যার জন্য কয়েকজন সহযোগী নিয়ে কুমিল্লা থেকে এসে হামলা চালিয়েছেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারেসুল ইসলাম জানান, নিহত মুন্নির পেট, মুখসহ শরীরের অসংখ্য স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোনিয়ার শরীরেরও অসংখ্য স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে চিরিরবন্দর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগীদের বিষয়ে জানা যাবে।
এমটিনিউজ/এসবি