দিনাজপুর: পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি এখনো মায়ের আচঁল ধরে হাটে। স্কুলে যাওয়া আসার সময় কাধেঁর ব্যাগ বহন করতেও হাঁসপাসঁ অবস্থা। শিক্ষকের অসাধু লুলুপ দৃষ্টিতে এই শিশুটির পেটেই বড় হচ্ছে আরেকটি শিশু।
ঘটনাটি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়া ইউনিয়নের। চিকিৎসকরা জানান, আগামী ২৭ জুন শিশুটির মা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, মেয়েটি প্রতিবেশীর কাছে পড়তে যেত। একা পড়ানোর সুযোগ নিয়ে একদিন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত সেপ্টেম্বরে প্রথম পাশবিক নির্যাতন করা হয় তাকে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকিও দেয় ঐ শিক্ষক। পরে আবারও কয়েকবার মেয়েটিকে একই কাজ করে।
ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে সে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হলে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হয় পরিবার।
অভিযোগ করে পরিবার জানায়, কলেজ পড়ুয়া প্রতিবেশীর কাছে পড়তে গিয়ে তাঁর কাছেই একাধিকবার ঐ কাজের শিকার হয় শিশুটি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত ৭ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় ওই তরুণের নামে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিন আলম তদন্ত শেষে গত ১৯ মার্চ রবিউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। মামলার পর রবিউল এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
সরেজমিনে ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটির বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে মেয়েটি। হতদরিদ্র মা-বাবা পারছেন না তার চিকিৎসা করাতে। ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করতেই দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরতে থাকে তার। মা জানালেন, সারাক্ষণ শুধু কাঁদে আর কাঁদে। এ ঘটনার পর লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হয় না শিশুটি। তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামের সামাজিকতার কারণে প্রায় একঘরে হয়ে পড়েছে চাতাল শ্রমিকের এই পরিবারটি।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর