দিনাজপুর: পুলিশের মানবিকতায় বেঁচে গেল সড়ক দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা মা-ছেলেসহ তিনজনের প্রাণ। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিলা পারভিন। পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
আহতরা হলেন- কাহারোল উপজেলার ঢিপিগুড়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. জুলুফা খাতুন (৩৪), একই গ্রামের মো. রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছা. নাসরিন বেগম (৩০) এবং ছেলে মো. নাফিস (২)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত জুলুফা খাতুনের বাম হাতের বাহুর উপরিভাগ কেটে ছুটে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অপর যাত্রী নাসরিন বেগম এবং তার শিশু ছেলে নাফিসের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়ে সারা শরীর ভিজে গেছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাড়ি নিয়ে মামলা-সংক্রান্ত কাজে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় যাচ্ছিলেন বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিলা পারভিন। পথে কাহারোল উপজেলার দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের কান্তা বাণিজ্যিক খামারের সামনে দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রক্তাক্ত তিন যাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এ সময় তিনি নিজেই আহতদের গাড়িতে তুলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করান। পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অর্থ দেন এবং দুর্ঘটনার বিষয়টি আহতদের পরিবারকে অবহিত করেন।
এ বিষয়ে ওসি সাকিলা পারভিন বলেন, ঘটনাটি আমার থানার মধ্যে পড়ে না। তবুও তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন- দেরি হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, এটি আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই করেছি।