জাহিনুর ইসলাম , বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: রাজধানী কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৯ জনের মধ্যে দিনাজপুরের জঙ্গি মোতালেব ওরফে আব্দুল্লাহর লাশ এই এলাকায় দাফন করতে দিবেনা কেউ।
মোতালেব ওরফে আব্দুল্লাহ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের সোহরাফ আলী ও মোসলেমা বেগমের ছেলে। বুধবার রাতে পরিচয় জানার পর এলাকাবাসী ঐ জঙ্গির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে। লাশ দাফন করা নিয়ে এলাকাবাসির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কোন জঙ্গির লাশ আমরা এলাকায় দাফন করতে দিবনা। প্রতিবেশী কাঠ ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল্লাহ এলাকায় ভালো ছেলে ছিল। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। তবে দীর্ঘ এক বছর সে এলাকায় আসেনি। সে জঙ্গি হওয়ায় তার লাশ আমরা এলাকায় দাফন করতে দিবনা।
আব্দুল্লাহর মেঝো ভাই আবুল কালাম জানান, তারা পাঁচ ভাই ও এক বোন। বড় ভাই ও বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দুই ভাই কাঠ মিস্ত্রির কাজ এবং সবার ছোট ভাই লেখা পড়া করেন। তিনি আরো জানান, আব্দুল্লাহ স্থানীয় বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে হিলি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। পরে সেখান থেকে নওগাঁ জেলার নজিপুর উপজেলার আলাদিপুর মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার এক আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল ১ম বর্ষে ভর্তি হন। এর পর থেকে গত একবছর ধরে সে আর বাড়িতে আসেনি। তবে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হতো। সর্বশেষ ৭/৮ দিন আগে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তখন আব্দুল্লাহ বলেছিল, মেরিন ইউনিটে সে চাকুরীর চেষ্টা করছে। আগামী ঈদে সে বাড়িতে আসার কথা বলেছিল।
আব্দুল্লাহর মা মোসলেমা বেগম বলেন, আশা ছিল ছেলে কোরানের হাফেজ হবে, আলেম হবে। বড় হয়ে সংসার চালাবে। কিন্তু এখন শুনছি সে জঙ্গি হয়েছে। একথা বলেই তিনি মুর্ছা যান।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, জঙ্গি আব্দুল্লাহ নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই এবং থানায় কোন জিডিও করা হয়নি। বুধবার রাতেই তার বাবা সোহরাফ হোসেন এবং বড় ভাই নুরুল ইসলামকে আটক করে ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
২৯ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম