বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:১১:৩৬

'কিমের বোমায় মৃত্যু হতে পারে ৯০ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের'

'কিমের বোমায় মৃত্যু হতে পারে ৯০ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উন্মাদ, যুদ্ধবাজ, একনায়ক। এসব নেতিবাচক তকমাই জুটেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের।

তবে সেনানায়ক হিসেবে অনেকেরই অবজ্ঞার পাত্র তিনি। কৌশলগত অবস্থান বুঝে হামলা চালানোর বিচক্ষণতা নাকি তার নেই। এমনটাই দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তবে দাবার ছকে ঘুঁটি সাজানোতে কম যান না তিনি, এবার সেটাই প্রমাণ করলেন কিম।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সেনা তৈরি করেছে এক ভয়ানক অস্ত্র। আমেরিকার মতো মহাশক্তিকেও যা হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ওই অস্ত্রের হামলা হলে মৃত্যু হবে ৯০ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাই।  

মার্কিন কংগ্রেসে তারা জানিয়েছেন, কিমের সেনার হাতে রয়েছে 'ইএমপি' বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস বোমা।
ইএমপি কমিশনের প্রাক্তন প্রধান উইলিয়াম গ্রাহাম জানান, পারমাণবিক মিসাইলের মদতে আমেরিকার উপর 'ইএমপি' হামলা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া।

ওই বোমার ভয়াবহতার বর্ণনা করে গ্রাহাম জানান, 'ইএমপি' বোমার বিস্ফোরণে সৃষ্টি হবে শক্তিশালী তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের। ওই তরঙ্গের আঘাতে বিকল হয়ে যাবে আমেরিকার পাওয়ার-গ্রিড। আর তা হলে বিমান, রেল, ব্যাংক ও হাসপাতালের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়বে। কম্পিউটার বিকল হয়ে ঘটবে হাজার হাজার দুর্ঘটনা।  

আকাশ থেকে ভেঙে পড়বে প্লেন। সিগনাল না পেয়ে ঘটে যেতে পারে রেল দুর্ঘটনা। ব্যাংকের সমস্ত তথ্য নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে ভেঙে পড়বে অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর মুখে পড়বে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ। মার্কিন নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে তিনি আরও দাবি করেছেন-যে আমেরিকার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিমের মিসাইল থামাতে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম নয়।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগেই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের সামরিক প্রয়োগ নিয়ে গঠন করা 'ইএমপি' কমিশন ভেঙে দেয় আমেরিকা। এরপরই এই রিপোর্টে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, 'ইএমপি' হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সম্প্রতি চরমে পৌঁছেছে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং দ্বৈরথ। যেকোনও মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথাও বলেছেন কিম জং উন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে