সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:০৩:১৯

যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে ৬ বিশ্ব ঐতিহ্যের যৌবন

যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে ৬ বিশ্ব ঐতিহ্যের যৌবন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানুষ সুন্দরের পুজারী। সারা দুনিয়ায় এমন কাউই বোধ হয় নেই যে, সুন্দরকে ভালবাসে না। এই সুন্দরের মধ্যে রয়েছে প্রকৃতি ও স্থাপনা। এর কিছু আছে মানুষের সৃষ্টি আর কিছু বিধাতার।

১৯৭২ সাল থেকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থাপনার তালিকা করে আসছে। এই তালিকায় থাকছে এমন কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনার কথা, যেগুলো যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়।

ফ্রান্সের নটার ডাম গির্জা: কোনও সামরিক স্থাপনা না হওয়া সত্ত্বেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসিদের নৈতিকভাবে দুর্বল করে দিতে জার্মানরা হামলা চালিয়ে নটার ডাম গির্জার অনেকখানি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ফ্রান্সের সব রাজার অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে এই গির্জায়। সংস্কার করার পর বর্তমানে এটি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনা হয়ে উঠেছে।

চার্চ অফ আওয়ার লেডি: এটি জার্মানির ড্রেসডেন শহরে অবস্থিত ‘চার্চ অফ আওয়ার লেডি’। আঠারো শতকে নির্মিত এই গির্জাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল৷ ২০০৫ সালে এটি সংস্কার করা হয়।

গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো: মধ্যযুগীয় সিরিয়ার প্রতীক ‘গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো’ কয়েক শতক ধরে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও ভূমিকম্প সহ্য করে এলেও চলমান সরকার-বিরোধী আন্দোলনে আর টিকে থাকতে পারেনি। তবে আশার কথা, মসজিদটির মিনারগুলো শুধু ধ্বংস হয়েছে৷ কবে নাগাদ এটি সংস্কার করা হবে তা কেউ জানে না।

আফগানিস্তানের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তি: আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তিগুলোর ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো৷ সবচেয়ে বড় প্রতিমূর্তির উচ্চতা ৩৫ মিটার। ২০০১ সালে তালিবানের হামলায় এগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ প্রতিমূর্তিগুলোর সংস্কার আদৌ সম্ভব কিনা তা পরিষ্কার নয়।

ইসলামি জঙ্গিদের শিকার ইসলামের ইতিহাস: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি শহর টিমবাক্টু। এককালে সেখানে ইসলাম ধর্মের জ্ঞানী লোকেদের যাতায়াত ছিল। ২০১২ সালে ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের বড় একটা অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের সেতুবন্ধ: এই সেতুটি বসনিয়া-হ্যারৎসোগোভিনায় অবস্থিত। কয়েক শতক ধরে স্টারি মস্ট নামের এই সেতুটি পূর্ব ও পশ্চিমের, খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের এবং ক্যাথলিক ক্রোয়শিয়ান ও অর্থডক্স সার্বদের মধ্যকার একটি সেতুবন্ধ হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৩ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ ২০০৫ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় সংস্থাটি।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে