জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে তিন বছরের জন্য পদ দেওয়া হয়েছে। আমাকে বহিষ্কার করে আমার, আমার পরিবারের এবং আমার অস্তিত্বের মধ্যে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে সেটা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি কোনো পাপ ও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নই। মানুষের ভুল হয়।
গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে শুক্রবার বহিষ্কার হওয়ার পর শনিবার সকালে বোর্ডবাজার হারিকেন এলাকার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর।
মেয়র জাহাঙ্গীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন আমি বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝুলব। আমাকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করলেও আমার আপত্তি নাই। আমি পদ-পদবি চাই না। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বাঁচতে চাই। ’
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও আমি যখন দেশের বাইরে ঠিক তখনই বিভিন্ন সময় যুক্তি তর্কের অডিও কাটছাঁট করে আংশিক ফেসবুকে প্রকাশ করে অপপ্রচার করা হয়েছে। আমি আবারও বলছি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ক্ষমা করে অন্তত আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে থাকতে দিন।’
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনা করতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই আমার রাজনীতি শুরু। আমাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বাঁচতে দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের জন্য, বঙ্গবন্ধুর জন্য, আমার মা সমতুল্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য জীবন দিতে রাজি, তবু মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মরতে চাই না। বিশ্বমানবতার মা, আমার মায়ের কাছে বলতে চাই- আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পুনর্বিবেচনা করুন।’