গোপালগঞ্জ থেকে: গোপালগঞ্জে প্রেমিকার সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক প্রেমিক। ধরা পড়ার পর ওই প্রেমিকাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে উধাও হয় প্রেমিক। প্রায় এক বছর ধরে টুঙ্গিপাড়া, সদর উপজেলার উলপুর ও শহরের ডিসি রোডের বাসায় এবং গোপালগঞ্জ শহরের বটতলায় সালমার ভাড়া বাসায় স্বামী পরিচয়ে এনায়েত মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কার্যকলাপ চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়দিয়া মুন্সি মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সালমা খানমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতের এমএলএসএস এনায়েত মোল্লা। পরে বিয়ের প্রলোভনে সালমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
আগেকার মতই রোববার রাতে বটতলায় সালমার ভাড়া বাসায় স্বামী পরিচয়ে রাত কাটাতে যায় প্রেমিক এনায়েত। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে এনায়েত মোল্লা উপস্থিত লোকজনকে জানায়, সালমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। একপর্যায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে এনায়েত।
পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের প্রেমিকা সালমা জানায়, উলপুর গ্রামের সামসুল হক মোল্লার ছেলে জেলা জজ আদালতে এমএলএসএস পদে কর্মরত এনায়েত মোল্লার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে গত এক বছর ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে এনায়েত। কিছুদিন আগে আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। পরে ওষুধ সেবন করিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটায় এনায়েত।
এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১১ এপ্রিল আমাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে এনায়েত। সেখানে চারদিন চিকিৎসা নিই। পরে সুস্থ হয়ে বাসায় আসি।
সালমার ভাষ্য, এনায়েত আমাকে বিয়ে করেনি। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমাদের সম্পর্ক অনেকেই জানে। আত্মীয়-স্বজন আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। সমাজে মুখ দেখাতে পাারছি না। আমি এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না। আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ নেই। বিয়ের প্রলোভনে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে এনায়েত। আমি এর বিচার চাই।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি