গোপালগঞ্জ থেকে: গোপালগঞ্জ সদর উপজলোর বোড়াশী গ্রামে মধ্যরাতে ক্লিনিকের সামনের রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন রোজিনা নামে এক প্রসূতি। পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স সেসময় ঘুমিয়ে ছিলেন। শত ডাকাডাকির পরও ঘুম ভাঙেনি তাদের।
ওই নারীর স্বামী নিয়ামুল শেখ জানিয়েছেন, স্ত্রী রোজিনার সন্তান প্রসবের যন্ত্রনায় ওই এলাকার আশপাশের লোকজন রাস্তায় ছুটে আসলেও ঘুম থেকে ওঠেননি চিকিৎসক অনুপ কুমার ও নার্স ইতি রানী।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও ডাক্তার-নার্সের বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলা শহর। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহরের ঘুল্লিবাড়ী মোড়ের অদুরে ডাক্তার অনুপ কুমারের মালিকানাধীন মালঞ্চ ক্লিনিকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী গ্রামের নিয়ামুল শেখের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা বেগম সোমবার রাত ১১টার পরে অসুস্হ হয়ে পড়ে। সেসময় পূর্ব পরিচিত ডাক্তার অনুপ কুমারের ঘুল্লিবাড়ী মোড়ের মালঞ্চ ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্লিনিকের সামনে পৌঁছলে রোজিনার সন্তান প্রসবের ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
এসময় নিয়ামুল ও পরিবারের লোকজন ডাক্তার ও নার্সকে ডাকাডাকিসহ দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। তাদের চিৎকারে পাশের বাসা-বাড়ীর লোকজন ছুটে এলেও ঘুম ভাঙেনি ডাক্তার অনুপ ও নার্স ইতি রানীর। এক সময় রোজিনা রাস্তার উপর সন্তান প্রসব করেন।
ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ডাক্তারের বাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে ডাক্তার অনুপ কুমারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাত ১টার পর অন্তঃসত্ত্বা এক নারী আমার ক্লিনিকের সামনে রাস্তার উপর সন্তান প্রসব করেছেন তা জেনেছি। তবে তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।
আপনার ক্লিনিকে আপনি ছাড়াও নার্স ছিল ওই অন্তঃস্বত্তা নারীর চিৎকার কি কেউ শুনতে পায়নি? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম, তাই এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছি না। ঘটনার বিস্তারিত রাত ৩টার পর পুলিশ আসলে জানতে পেরেছি।