ঢাকা : শিশুগৃহকর্র্মী নির্যাতন মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দল পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।আজ বৃহস্পতিবার এই রিমান্ড শুনানি হবে।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম নুরু মিয়া রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার ওসি-তদন্ত শফিকুর রহমান এ রিমান্ডের আবেদন করেন।
মামলা দায়েরের পর প্রায় ১ মাস পলাতক থেকে সোমবার শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ওইদিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। জামিন নাকচ করে দেয়ার পর শাহাদাতকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন।
রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খান এই মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিবের স্ত্রী জেসমিন জাহান এলাইচ নিত্য শাহাদাতের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তবে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
এরআগে নিত্য শাহদাতকে রোববার ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মিরপুর মডেল থানার ওসি-তদন্ত সফিকুর রহমান।
রাজধানীর মালিবাগে শাহাদাতের শ্বশুর বাড়ি থেকে রবিবার ভোরে নিত্য শাহদাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান বলেন, ভোরে অভিযান চালিয়ে শাহাদাতের শ্বশুর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী নিত্য শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের কালশী রোডসংলগ্ন সাংবাদিক প্লটের গেট থেকে মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের ১১ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
শিশুটির গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও চোখ ফোলা ছিল। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তার পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্যাতন করেছে। হ্যাপি জানায়, নির্যাতনের কারণে সে ওই বাসা থেকে পালিয়েছে।
ওই রাতেই খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের মিরপুরের এক বাসিন্দা বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় শনিবার রাতে শাহাদাতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ