বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:০১:৪৪

রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একতলা ফাঁসির মঞ্চ

রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একতলা ফাঁসির মঞ্চ

নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় থাকছে না কেন্দ্রীয় কারাগার।  ১৫ নভেম্বরের পর যেকোনো দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে স্থানান্তর হবে।

এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।

তিনি বলেছেন, নবনির্মিত কারা ভবন প্রায় প্রস্তুত।  ১৫ নভেম্বরের পর যেকোনো দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে স্থানান্তর হবে।  কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরে ‘বন্দি কল্যাণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে কারাবন্দিদের পুনর্বাসন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।  

ইফতেখার উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী কারাগার উদ্বোধন করবেন।  পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে।  স্থানান্তর পর্ব শেষ হলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ১৭৮৮ সালে তৈরি হওয়া এ কারাগার চলে যাবে ইতিহাসের পাতায়।

কারা কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে ১৯৪ একরের বেশি জমিতে তৈরি হয়েছে নতুন কারাগার।  এর মধ্যে ৩০ একর জমিতে বন্দীদের জন্য ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে।

এসব ভবনে ৪০০০ পুরুষ ও আলাদা ভবনে ২০০ নারী বন্দীর ধারণক্ষমতা রয়েছে।  আট হাজারের মতো বন্দী থাকতে পারবে।  বর্তমান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী ধারণক্ষমতা ২৮২৬ জন, আছেন ৭৩০০ জন।  এ কারাগারে ১৬০ জন নারী বন্দী আছেন।

নতুন কারা ভবনের কোনো কাজে যাতে ভুলত্রুটি না হয় সে জন্য ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।  এর প্রধান কারা উপমহাপরিদর্শক (কারা)।
বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-মাওয়া সড়কের বাঁ পাশে রাজেন্দ্রপুরে নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অবস্থান।  প্রায় ২৫ ফুট উচ্চতায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চারদিকে সীমানাপ্রাচীর গড়ে তোলা হয়েছে।

ভেতরে আটটি ছয়তলা ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।  প্রতিটি ভবন অন্তত ছয় ফুট উচ্চতার পৃথক সীমানা দেয়ালে ঘেরা।  পাশে আরো দুই ও চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।  

সূত্র জানায়, সীমানাপ্রাচীরের বিভিন্ন স্থানে ৪০ ফুট উঁচু চারটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।  ওই টাওয়ার থেকে পুরো কারাগারের চিত্র দেখা যাবে।

দুর্ধর্ষ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের রাখার জন্য চারটি চারতলা কারা ভবন (ডেঞ্জার সেল) নির্মাণের কাজ চলছে।  ডেঞ্জার সেলের তিন নম্বর ভবনের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে টিনশেডের একতলা ফাঁসির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।  এর দক্ষিণে ওয়ার্কশপ, লন্ড্রি, সেলুন, গুদাম ও গম থেকে আটা তৈরির কারখানা।

সূত্র জানায়, ১০০ কিশোর বন্দী ও ৩০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন বন্দীকে রাখার উপযোগী আলাদা সেলের নির্মাণ শেষ হয়েছে।  বন্দীদের ভবনের সীমানাপ্রাচীরের পাশে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। কারাগার চত্বরে এক হাজার কারারক্ষী থাকার উপযোগী ব্যারাক নির্মাণের কাজও শেষ।

এছাড়া কারাগারের বাইরে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের জন্য আলাদা ভবন, অফিসার্স ক্লাব, স্টাফ ক্লাব, স্কুল, মসজিদ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভার জন্য মিলনায়তন নির্মাণ করা হচ্ছে।
৮ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে