নিউজ ডেস্ক : জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু-সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মরক্কো যাত্রা করেন তিনি। স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় ম্যারাকেশের মেনারা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
মরক্কোর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মারাক্কেশে আয়োজিত জাতিসঙ্ঘ জলবায়ু-সম্পর্কিত ২২তম কনফারেন্স অব পার্টিস’র (কপ-২২) উচ্চ পর্যায়ের দু’টি বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে একথা জানা যায়।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল লা মামৌনিয়াতে নেয়া হবে। এ সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন। তিনি মঙ্গলবার মারাক্কেশের বাব ইগলী হলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কপ-২২’র উচ্চ পর্যায়ের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন।
এর আগে মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মেদ, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী পেট্রিসিয়া এসপাইনোসা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের অভ্যর্থনা জানাবেন। বিকেলে কপ-২২’র যৌথ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ৪৯তম বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন।
শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন এবং এই বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ও সমন্বিত প্রয়াস এগিয়ে নিতে এক প্রচারাভিযান জোরদার করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাবেন।
একইদিন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের দেয়া ভোজসভায় যোগ দেবেন। তিনদিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ১৬ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বন এবং পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
এ বছর ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কপ-২১ ’এ গৃহীত ঐতিহাসিক চুক্তির পর এটাই হচ্ছে প্রথম বড় ধরনের কোন সম্মেলন। গত বছর ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ-২১ ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাসে ১৯৯৪ সালে জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন শুরু হয়। এই কনভেনশনের সর্বোচ্চ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে কপ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ পর্যন্ত ১৯৫ দেশ এতে অনুসমর্থন দিয়েছে। দেশগুলো কনভেনশনের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সমঝোতা প্রক্রিয়া জোরদারে বছরে একবার দু’সপ্তাহ সময়ে একত্রিত হন। -বাসস
১৪ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম