শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:০৪:১২

‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’

‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অঘোষিত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার’ কারণে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সড়কপথে দুই সপ্তাহ ধরে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ থাকার খবরটি উদ্বেগজনক। গত ২১ সেপ্টেম্বর নেপালের নতুন সংবিধান অনুমোদনের পরই ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জনগণের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে না নেওয়ায় তঁারা ধর্মঘট পালন করছেন। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যেহেতু ভারতীয় ভূখণ্ড আছে, সেহেতু নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও কঠিন সমস্যায় পড়েছে।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পণ্যবাহী ২০০টি ট্রাক বাংলাবান্ধা এলাকায় আটকা পড়েছে। ব্যবসায়ীরা সেগুলো পাঠাতে পারছেন না এ আশঙ্কায় যে নেপাল সীমান্ত পার হতে সমস্যা হবে। এতে নেপালের পাশাপাশি বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নেপালের অভিযোগ, ভারতের ইন্ধনেই সীমান্তবর্তী এলাকায় ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। অবশ্য ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, নেপালি জনগণের ধর্মঘটের কারণেই সীমান্তে পণ্য চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা সীমান্তে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। পরিস্থিতি এমনই উদ্বেগজনক যে অচলাবস্থা নিরসনে নেপাল বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছে।

উল্লেখ্য, ভূমিবেষ্টিত নেপালের অর্ধেকেরও বেশি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয় ভারতের সীমান্ত দিয়ে। নেপাল বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে, তার মধ্যে রয়েছে তুলা, ওষুধ, ব্যাটারি, সুতা, ফলের রস, আলু, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট ও পাটজাত পণ্য। আর নেপাল বাংলাদেশে রপ্তানি করে ডাল, ঔষধি গাছগাছড়া, সবজি প্রভৃতি। এর মধ্যে বেশ কিছু পচনশীল পণ্যও রয়েছে। এ অচলাবস্থা এমন সময়ে দেখা দিল, যখন চারদেশীয় মোটরযান চুক্তির আওতায় এক দেশের পণ্য ও মানববাহী যান অন্য দেশে অবাধে চলাচল করার কথা।

তাই জরুরি ভিত্তিতে নেপাল-ভারত সীমান্তের এ অচলাবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ভারতকে সংবেদনশীল মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নেপালের জীবন–মরণ সমস্যাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। অন্যদিকে নেপাল সরকারেরও উচিত হবে তার ক্ষুব্ধ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসে নতুন সংবিধান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান খোঁজা। -প্রথম আলো

১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে