শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:২৭:৪৩

নেই কোন কর্মকৌশল : রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে বিএনপি

নেই কোন কর্মকৌশল : রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে বিএনপি

এনাম আবেদীন: পর পর দু-দুটি ব্যর্থ আন্দোলন এবং লাগাতার সাংগঠনিক দুরবস্থার মধ্যেও দল পরিচালনার কর্মকৌশলই ঠিক করতে পারছে না বিএনপি। বহির্বিশ্বে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এগোনোর পথ এখনো হাতড়ে বেড়াচ্ছে দলটি। সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু হলেও নতুন নেতৃত্ব তৈরির বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। অথচ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ রয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দলের মধ্যে তাগিদ থাকলেও জামায়াত প্রশ্নে সব কিছু থেমে আছে। এ অবস্থায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের দিকে তাকিয়ে আছে দলটির নেতাকর্মীরা। চোখের চিকিৎসার জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে গেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে ছেলে তারেক রহমানের কিংস্টনের বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। দেশে ফেরার আগে দলের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নিয়ে বিএনপির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে বলে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছে। ফলে খালেদার দেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। পারতপক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় বা গুলশান কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার পর দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পর্যন্ত মাত্র দুবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন। মহানগরী কার্যালয়ে অনেক দিন যাচ্ছেন না বর্তমান মহানগরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। গুলশান কার্যালয়ও ফাঁকা। দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান দল পুনর্গঠনের সমন্বয়ের কাজটি করছেন তাঁর বাসায় বসেই। কেবল তাৎক্ষণিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অতি সতর্কতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন দলের নতুন মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। তাঁকে কেন্দ্র করে, বিশেষ করে সংবাদ সম্মেলনের সময় মধ্যম পর্যায়ের কয়েকজনকে সেখানে দেখা গেলেও সিনিয়র নেতারা কেউই যাচ্ছেন না। সূত্রমতে, ঢাকায় অবস্থানরত দু-একজন নেতার গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও দলের কৌশল নির্ধারণ না হওয়ায় তাঁরা যাচ্ছেন না। ঘনিষ্ঠজনদের তাঁরা বলছেন, দলের রাজনৈতিক অবস্থান কী সেটা না জেনে ওখানে যাওয়া ঠিক হবে না। তা ছাড়া সরকারের রোষানলে পড়ারও ভয় রয়েছে। সম্প্রতি প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে বিপদে পড়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বিদেশি দুই নাগরিকের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'সরকার যে সাম্প্রদায়িকতার জুজুর ভয় দেখাচ্ছে, এখন নিজেরাই তার শিকারে পরিণত হয়েছে।' তাঁর এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান। জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করবে; এটিই দলের কৌশল। এর বাইরে বলার কিছু নেই। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের মতে, লন্ডন থেকে চেয়ারপারসন না ফিরলে কর্মকৌশল ঠিক হবে না। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর হয়তো অনেক ইস্যুতে আলোচনা হবে। কিন্তু কোনটি গ্রহণ করা হবে আর কোনটি হবে না, তা চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মতে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এমনভাবে করতে হবে যাতে ষড়যন্ত্র করে কেউ সন্ত্রাসী তকমা গায়ে লাগাতে না পারে। আশা করছি চেয়ারপারসন লন্ডন থেকে ফেরার পর বিএনপির কৌশল নির্ধারণ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণ বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে দলের সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে। তবে শুধু গায়ের জোরে তাদের জোট থেকে বের করে দেওয়া ঠিক হবে না। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা লন্ডন থেকে বলেন, যুগোপযোগী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দলকে এগিয়ে নেওয়াই বিএনপির বর্তমান কৌশল। আর সে লক্ষ্যে নানা কারণে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থদের সরিয়ে দলে অবদান রাখতে সক্ষম এমন নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে বিএনপিকে এগিয়ে নিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসীদের পাশাপাশি বিগত নির্বাচনে যারা অংশ নেয়নি, সে দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে বিএনপিকে আন্দোলন ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকার সাবেক এ মেয়র বলেন, প্রয়োজনে বিএনপি অবশ্যই আন্দোলনে যাবে। তাঁর মতে, বিএনপি রামকৃষ্ণ মিশন নয় যে বসে অহিংস বাণী প্রচার করবে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, চেয়ারপারসন লন্ডন থেকে ফিরে পরবর্তী করণীয় নিয়ে অবশ্যই সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি আর কিভাবে সরকারকে চাপে রাখা যায় দলকে এমন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে দুদু বলেন, যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে সরকার নিজেই এখন বেকায়দায় পড়েছে। এর সঙ্গে রাস্তার আন্দোলন যোগ হলে সরকারের ভিত কেঁপে যেত। তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মর্যাদা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পর্ক নির্ধারণ বিএনপির লক্ষ্য। আর বিশ্ব বাস্তবতায় জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও পুনর্র্নিধারণ হওয়া উচিত। যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানের মতে, একটি দলের রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারিত হয় সময়ের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী। যেমন- বিএনপিতে এ মুহূর্তে সংগঠন গোছানোর কাজ চলছে। চেয়ারপারসন দেশে ফিরলে হয়তো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে দোলাচল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা বিশ্ব, পাশাপাশি ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কয়েক বছর ধরে বিএনপি নেতারা কাজ করছেন। এর মধ্যে 'জঙ্গিবাদ' ছাড়া এ দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব অনেকটাই কমে এসেছে। দলটির বড় একটি অংশের মতে, জঙ্গিবাদ ইস্যুটির নিষ্পত্তি হচ্ছে না মূলত জামায়াত জোটে থাকায়। অন্যদিকে জামায়াত ইস্যুসহ ভারতের নিরাপত্তা প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে দেশটির বিজেপি সরকারের পাশাপাশি 'ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র' বলে পরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। দলটির অনেক নেতার মতে, ক্ষমতায় যেতে হলে তারেক রহমানের অবস্থান বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হবে কি না তারও নিষ্পত্তি হবে এবারের লন্ডন সফরের মধ্য দিয়ে। এরপর নির্ধারিত হবে বিএনপি ভারতমুখী নাকি ভারতবিরোধী অবস্থান নেবে। আন্দোলন না কূটনৈতিক চাপ? বিএনপি নেতাদের মতে, হয় সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলন অথবা কূটনৈতিকভাবে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ফেলে সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আদায় করতে হবে। কিন্তু এ দুটির মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনটিকে বেছে নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো আটকে আছে। এর আগে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দুই দফার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় এ প্রশ্নে বিএনপিকে অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। জামায়াত নিয়ে দোটানা সূত্রমতে, জামায়াতকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপি এখন এক ধরনের চাপের মুখে রয়েছে। বিষয়টি ২০ দলীয় জোটে এখন অনেকটাই 'ওপেন সিক্রেট'। যুক্তরাষ্ট্র তেমন জোর দিয়ে না বললেও পশ্চিমা বিশ্ব বিভিন্ন আলোচনায় ইস্যুটি বারবার তুলছে। তাদের চেয়েও বেশি জোর দিয়ে জামায়াত ইস্যুটি তুলছে ভারত। কিন্তু প্রায় ১৭ বছরের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে কারণ ছাড়াই এক কথায় জোটের বাইরে ঠেলে দিতে পারছে না বিএনপি। দলটি চাইছে, সরকারই তাদের নিষিদ্ধ করুক। সব মিলিয়ে এ ইস্যুটিও অনেক দিন ধরে ঝুলে আছে। কার্যকর উদ্যোগ নেই নতুন নেতৃত্ব তৈরির ক্ষমতায় গেলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি কী করবে বা সরকার পরিচালনায় কারা থাকবে এ ধরনের প্রশ্ন গত পাঁচ বছর ধরে কূটনৈতিক অঙ্গন থেকে উঠছে। ব্যক্তিগত ও অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় পশ্চিমা বিশ্বের কূটনীতিকরা বলছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগের ব্যাপারে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে এটি ঠিক। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে বিগত বিএনপি সরকারও এ ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে দলটির বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ফলে দেশ চালাতে দলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি-সম্পন্ন, নতুন ও তরুণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা বিএনপিকে বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। এ ছাড়া নীতিনির্ধারণী প্রশ্নে পরামর্শ দেওয়ার জন্য থিংকট্যাংক গঠনেরও তাগিদ দিয়েছেন কূটনীতিকরা। সূত্রমতে, বিএনপির বেশির ভাগ নেতা মনে করেন, নেতৃত্বের নতুন 'সেটআপ' ছাড়া দল চলবে না। পাশাপাশি জনগণও বিএনপিকে গ্রহণ করবে না। সূত্রের দাবি, কূটনীতিকদের তাগিদের কারণে খালেদা জিয়ার নির্দেশে থিংকট্যাংক গঠনের কাজ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত অবয়ব নেবে কি না তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কারণ দলের মূল স্রোতের অনেকেই এর বিরোধী। তাঁরা মনে করেন, বাইরে থেকে নতুন নেতৃত্ব আমদানি হলে দলে তাঁদের মূল্য কমে যাবে। তবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিএনপি সমর্থক সুধী সমাজের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করার বিষয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দলের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের পরের প্রজন্ম, অর্থাৎ নেতাদের ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে নেতা বাছাইয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে। জানা গেছে, বিএনপির সাবেক একজন মহাসচিবের মেয়ে এবং বর্তমান প্রভাবশালী এক নেতার ছেলেকে এ-সংক্রান্ত তালিকা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খবর পাওয়া গেছে, নতুন এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছেন পুরনো নেতারা। ফলে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। থেমে গেছে জোটের কলেবর বৃদ্ধির উদ্যোগও বিএনপির একাংশের বিরোধিতায় সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা এবং অলি আহমেদের এলডিপিসহ গত নির্বাচন বয়কটকারী দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য বা জোট গঠনের উদ্যোগও থেমে গেছে। বি. চৌধুরীর বিরোধিতা করে একটি অংশ বলছে, দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলে তাঁর নেতৃত্বে সরকার বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করতে পারে। ২০ দলীয় জোটে থাকলেও এলডিপির বিএনপিতে যোগদানের ব্যাপারে আলোচনা অনেকদূর এগুলেও চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে না। পাশাপাশি সিপিবি, বাসদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জেএসডিসহ গত নির্বাচন বয়কট করেছে এমন দলগুলো জামায়াতের কারণে বিএনপিতে ভিড়তে চাইছে না। সূত্রমতে, ওই দলগুলো ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টির নিষ্পত্তি আগেভাগেই চাইছে। সব মিলিয়ে কৌশল নির্ধারণ না হওয়ায় রাজনীতিতে কোনো প্রক্রিয়াই এগিয়ে নিতে পারছে না বিএনপি। - কালেরকণ্ঠ। ১৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ/আসিফ/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে