বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০১:০৬:২০

মিয়ানমারকে কড়াভাষায় ধমক দিলো ঢাকা!

মিয়ানমারকে কড়াভাষায় ধমক দিলো ঢাকা!

কূটনৈতিক ডেস্ক : টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিপি’র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। গতকাল বিকালে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস বরাবর ইস্যু করা এক ডিপ্লোম্যাটিক নোট বা কূটনৈতিক পত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘আক্রমণাত্মক ওই ঘটনা’র তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদের বিস্তারিত গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়। ‘বাংলাদেশ লজ্‌ড স্ট্রং প্রটেস্ট অন দ্য ইনসিডেন্ট অব ফায়ারিং এট অ্যা ফিশিং বোট ইন নাফ রিভার অন সিক্স ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বাই মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূচনাতে বলা হয়, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাফ নদীতে থাকা নিরস্ত্র মাছ ধরার নৌকাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আগ্রাসন চালিয়েছে। বাংলাদেশ সেই আগ্রাসী বা আক্রমণাত্মক ঘটনার অত্যন্ত কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সেদিনের ঘটনায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত এবং অন্যজন গুরুতর জখম হন। মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো কূটনৈতিক পত্রে দেশটির আগ্রাসী তৎপরতা এবং সেখানে এক নিরীহ বাংলাদেশি জেলের প্রাণহানির ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। গত ২৭শে ডিসেম্বর সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে সমপূর্ণ বিনা উস্কানিতে একটি বেসামরিক নৌকাকে উদ্দেশ্য করে একই ধরনের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল উল্লেখ করে আক্রমণাত্মক ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করে দুই প্রতিবেশীর পারস্পরিক আস্থা এবং বোঝাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভূমিকা রাখে না। এ কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এটি নিশ্চিত করতে যে, আগামীতে যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তের ওই হত্যাকাণ্ডে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আগেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলো গতকাল। সেগুনবাগিচার কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল বাংলাদেশ-মিয়ানমার শান্ত সীমান্তে সম্পূর্ণ ‘উস্কানিমূলক’ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মিয়ানমার।

এমন নির্মমতার পুনরাবৃত্তি রোধে ‘সর্বোচ্চ শক্ত ভাষায়’ মিয়ানমারকে ধমক দিতে চায় ঢাকা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিয়ানমার বাংলাদেশি নাগরিককে হতাহত করেছে এমন তথ্য ঢাকা পেয়েছে বলেও সেদিন দাবি করেন সরকারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। তার ধারণা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সমপ্রদায়কে (রোহিঙ্গা) টার্গেট করে তাদের সমূলে উচ্ছেদে বর্মী বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে সেখানে যে নারকীয় নির্যাতন চালাচ্ছে এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে তা আড়াল করতে মিয়ানমার প্রতিবেশী বাংলাদেশে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারে! এমজমিন

৯ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে