মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১২:৫৫:৫২

২০৩ ‘সন্তানের’ জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

২০৩ ‘সন্তানের’ জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

লুৎফর রহমান : খুব ছোটবেলায় এক অসহায় বৃদ্ধকে দেখে মনে দাগ কেটেছিল। বাসনা জেগেছিল হাতে অর্থ সম্পদ এলে বয়োজ্যেষ্ঠ অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার। ভাগ্য বদলাতে খুব অল্প বয়সেই পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেশে ফিরে শুরু করেন ব্যবসা। কিছুদিন ব্যবসা করার পর শুরু করেন শৈশবের বাসনা পূরণের কাজ। উত্তরার একটি ছোট ভাড়া বাসায় গড়ে তোলেন বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র।

শুরুতে সাত থেকে আট জন অসহায় বয়স্ক লোক জোগাড় করেন অনেক কষ্টে। বয়স্কদের বিনা খরচে কেউ থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করবে তখন অনেকে এটা বিশ্বাস করতেন না। তাই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও এমন বয়স্ক লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর কেটে যায় বেশ কয়েক বছর। তার মধ্যেই স্বপ্ন বড় হতে থাকে। বড় আকারের পুনর্বাসন কেন্দ্র করতে গাজীপুরের মণিপুরে কিনেন শতাধিক বিঘা জমি। ধীরে ধীরে তৈরি করতে থাকেন অবকাঠামো।

নিজের স্বপ্নের সার্থক রূপ দিতে যোগাযোগ করেন মানবহিতৈষী মাদার তেরেসার সঙ্গে। বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রটি পুরো প্রস্তুত হওয়ার পর কার্যক্রমও শুরু হয় সেখানে। ১৯৯৫ সালের ২১শে এপ্রিল এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা। তিনি পুরো একটি দিন কাটান কেন্দ্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে। আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর কেটে গেছে প্রায় ২২ বছর। আরো বড় হয়েছে কেন্দ্রের পরিসর। বেড়েছে বাসিন্দার সংখ্যা। এখন গড়ে দুই শতাধিক অসহায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষের ঠিকানা এটি। বিশাল এ কেন্দ্রের বাসিন্দাদের খাবারের একটা বড় অংশ উৎপাদিত হয় নিজস্ব জমিতে। আর বাকিটার যোগান আসে বাইরে থেকে। বয়স্কদের সেবা শুশ্রূষার জন্য কাজ করেন ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

প্রায় তিন শতাধিক মানুষের এই একটি পরিবারের একজনই অভিভাবক। তিনি খতিব আবদুল জাহিদ মুকুল। নিজের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠান ঘিরেই তার যত চিন্তা। এই কেন্দ্রে আছেন শতবর্ষী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। আছেন রোগে-শোকে নুয়ে পড়া অশীতিপর মানুষ। তারা সবাই পরম মমতায় মুকুলকে বাবা বলে ডাকেন। মুকুল বয়স্কদের দেখেন নিজের পিতা-মাতার মতো, সন্তানের মতো। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকেন নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠানে। বিকালে যখন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের সান্নিধ্য পান যখন ভুলে যান দিনের সব ক্লান্তি।

অনাবিল এ প্রশান্তি নিয়ে সেখানেই দুপুরের বা রাতের খাবার খান। একবুক ভালোবাসা নিয়ে বাসায় ফিরেন রাতে। একজন মুকুলের এমন ভালোবাসায় জীবন সায়াহ্নে এ পর্যন্ত আশ্রয় পেয়েছেন, বেঁচে থাকার ভরসা পেয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। নিজের এই অনন্য উদ্যোগে নানা সময়ে সহযোগী হতে চেয়েছেন দেশ-বিদেশের অনেকে। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি কখনো। মুকুল মনে করেন নিজের কষ্টার্জিত অর্থে যতদিন পারেন এই অসহায় মানুষদের সেবা করে যাবেন। নিঃস্বার্থ এই সেবার জন্য তিনি কোনো স্বীকৃতিও চান না। আসতে চান না প্রচারের আলোতেও।

শনিবার দুপুরে মণিপুরের এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে পৌঁছতে পেরুতে হলো দুটি প্রধান ফটক। দুই ফটকেই নিরাপত্তা তল্লাশি। বিশাল সীমানা প্রাচীরের ভেতরে সারি বাঁধা পাঁচ তলা তিনটি ভবনে বয়স্ক পুরুষদের আবাসনের ব্যবস্থা। একটি ভবনে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। মেডিকেল সেন্টার। পাশে বিশাল ডাইনিং রুম কাম বিনোদন সেন্টার। এক পাশে রান্নাঘর, নাস্তা তৈরির বেকারি। মাঝখানে অফিস কম্পাউন্ড। এরপর একতলা বিশাল ভবনে বয়স্ক নারীদের আবাসনের ব্যবস্থা। ওই ভবনের সামনে বিশাল মাঠ, বসার জায়গা, ফুল-ফলের বাগান। এর পরে আছে মসজিদ, কবরস্থান, পুকুর। মূল সীমানা দেয়ালের বাইরে ধান ক্ষেত, সবজি বাগান।

কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবু শরিফ জানান, প্রায় ১২০০ জনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আছে এখানে। তবে এখন পর্যন্ত তা দুই থেকে আড়াইশ’র মধ্যে উঠানামা করে। শনিবার প্রতিষ্ঠানের বাসিন্দাদের তালিকায় দেখা যায় ১০১ জন পুরুষ আর ১০২ জন সেবা নিচ্ছেন কেন্দ্রের। প্রস্তুত আরো ৪০টি সিট শূন্য। শরিফ জানান, বাসিন্দাদের সবাই ৬০ বছরের বেশি বয়সী। তাদের কারও পরিবার নেই। কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। এসব কারণে শেষ বয়সে তাদের কোনো নির্ভরযোগ্য আশ্রয় নেই। তাই পরিচিতজনদের মাধ্যমে অথবা নিজে থেকেই তারা এই কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, যারা এখানে থাকেন তারা একেক জন একেক রকম। একেক জনের মনোজগৎ একেক রকম। তাই তাদের সেবা করাটাও কঠিন কাজ। এই বৃদ্ধ বয়সে সামান্য একটু সমস্যাও তারা মেনে নিতে পারেন না। রেগে যান। তাই প্রত্যেকের মনের অবস্থাটা আমরা আগে জেনে-বুঝে নেই। পরে সে অনুযায়ী তাদের সেবা দিতে হয়। খাওয়া-থাকার মতো তাদের মানসিক শান্তি নিশ্চিত করাটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। খতিব আবদুল জাহিদ মুকুল আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। যাতে এখানকার বাসিন্দাদের কোনো সমস্যা না হয়। এখানে যারা কাজ করেন তারা নিজের বাবা-মায়ের মতোই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পরিচর্যা করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রে ৬০ বছরের বেশি বয়সী, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের ভর্তি করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক জানান, এখানে সবকিছু একটা নিয়মের মধ্যে চলে। সকালে ফজরের নামাজের পর বাসিন্দাদের সকালের নাস্তা দেয়া হয়। নাস্তা সেরে বাসিন্দারা যার যার মতো সময় কাটান। জোহরের নামাজের পর দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার দেয়া হয় এশার নামাজের পর। খাবারের মেন্যুতে ভাত, রুটি, শাক-সবজি, মাছ মাংস এবং ডাল থাকে। বয়স ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বাসিন্দাদের খাবার দেয়া হয়। যারা ডাইনিংয়ে গিয়ে খেতে পারেন তারা ঘণ্টা বাজলে একসঙ্গে সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন। আর যারা চলাফেরা করতে পারেন না তাদের খাবার পৌঁছে দেয়া হয় যার যার কক্ষে।

সবজি এবং মাছ আসে কেন্দ্রের জমি এবং পুকুর থেকে। পুরো বছরের ধানও উৎপাদন হয় এখানে। মওসুমি প্রায় সব ধরনের ফলের বাগান আছে এখানে। যার পুরোটাই এখানকার বাসিন্দাদের জন্য। এছাড়া, বাইরে থেকেও নিয়মিত ফল-ফলাদি আনা হয় তাদের জন্য।

বাসিন্দাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে এখানে একটি মেডিকেল সেন্টার আছে। আবাসিক চিকিৎসক আছেন। জরুরি সেবার জন্য সার্বক্ষণিক একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকে মেডিকেল সেন্টারে। ওষুধসহ যাবতীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় বিনামূল্যে। বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে আছে টেলিভিশন, খবরের কাগজ। আছে বিশাল লাইব্রেরি। আবু শরিফ জানান, কেন্দ্রে সব ধর্মের মানুষের থাকার ব্যবস্থা আছে। এখানে এখন হিন্দু ধর্মের ২০ জন এবং খ্রিষ্টান ধর্মের চার জন আছেন। মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের বাসিন্দাদের তাদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতিনীতি পালনেরও সুযোগ আছে এখানে। এছাড়া বাসিন্দাদের মৃত্যুর পর দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা আছে কেন্দ্রের ভেতরে। কবরস্থানে আছে চার ধর্মের মানুষের দাফনের নির্ধারিত স্থান।  

কেন্দ্রেই যাদের দাফনের অনুমতি দিয়ে যান তাদের এখানে দাফন করা হয়। মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের বাসিন্দাদের যারা কেবল দাফনের অনুমতি দিয়ে যান তাদেরই দাফন করা হয়। আর যাদের স্বজনরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দাফন বা সৎকার করতে চান তাদের সে সুযোগ থাকে। তবে এখানকার বাসিন্দাদের ৭০ ভাগেরই দাফন করা হয় এখানকার কবরস্থানে। কারণ তারা নিজেরাই বলে যান কেন্দ্রেই যেন তাদের দাফন করা হয়।  

এখানকার বাসিন্দা প্রায় ৯০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম জানান, তার কোনো সন্তান নেই। উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়ে তিনি বাস্তুহারা হন। এরপর কোনো সহায় না পেয়ে এ কেন্দ্রে আশ্রয় নেন ২০ বছর আগে। দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রে জীবনযাপন করছেন। এটি এখন পরিবারের মতো হয়ে গেছে। নিজের কোনো পরিবার না থাকলেও এ কেন্দ্রই এখন তার পরিবার। তিনি বলেন, এখানে নামাজ, বই পড়া, টেলিভিশন দেখা, ঘুরাঘুরি করার সব সুযোগই আছে। তাই ভালোভাবেই সময় কেটে যায়। ১০ দিন আগে কেন্দ্রে আসা মরিয়ম জানান, তার দুই মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। স্বামী নেই। মেয়ের বাড়িতে থাকতে তার ভালো লাগে না। তাই কেন্দ্রের বাসিন্দা হয়েছেন। তিনি বলেন, ভালোই লাগছে এখানে এসে। হয়তো এই কেন্দ্রই হবে তার শেষ জীবনের ঠিকানা।

৮২ বছর বয়সী ঋষিকেশ সাহার সঙ্গে কথা হয় ডাইনিং কক্ষে। তিনি জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এখানে আসেন দুই বছর আগে। সরকারি চাকরি করতেন। শেষ বয়সটা ভালোভাবে কাটবে- এ প্রত্যাশা থাকলেও তা হয়ে উঠেনি। বয়স্ক কেন্দ্রে এখন অনেকটা নির্ভার সময় কাটাচ্ছেন। বাকি সময়টা এখানেই কাটাতে চান তিনি।

১০২ বছর বয়সী সজল খাঁ এসেছেন বরিশাল থেকে। তিনি জানান, লালন পালনের মতো কেউ না থাকায় চার মাস আগে তিনি কেন্দ্রে আসেন। এই ক’দিনে ভালোই  লেগেছে। তিনিও বাকি জীবনটা এখানেই কাটিয়ে দিতে চান। ফিরোজা রহমান ঢাকার একটি নামকরা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। শেষ জীবনে নির্ভরতার জায়গা না থাকায় তারও ঠাঁই হয়েছে কেন্দ্রে। তিনি বলেন, আমার পরিবার আছে। কিন্তু সেখানে থেকে শান্তি মিলে না। তাই এখানে চলে এসেছি। ভালোই সময় যাচ্ছে। অনেক বড় পরিবার। সবাই প্রায় একই বয়সের। তাদের সঙ্গে সময় কেটে যাচ্ছে। কষ্ট, আনন্দ সব ভাগাভাগি করে নেই। ৬৫ বছর বয়সী আরজু বেগম জানান, আমার কেউ নেই। মুকুল বাবা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। সে আমার বাবা। সে আমার সন্তান। আমরা ভালো আছি।

বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গিভেন্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খতিব আবদুল জাহিদ মুকুল এ কেন্দ্রকে ঘিরে জানিয়েছেন তার স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, আমি না থাকলেও যাতে এ কেন্দ্রটি ভালোভাবে চলে সে ব্যবস্থা করে যেতে চাই। কেন্দ্রের স্থায়ী আয়ের উৎস তৈরি করে দিয়ে যেতে চাই। শুধু গাজীপুরেই এ কেন্দ্রের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটিতে ছোট পরিসরে একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ২০ জন বয়স্কের থাকার ব্যবস্থা আছে।

বয়স্ক মানুষের জন্য সারা দেশে এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে দিনের ব্যস্ততা থাকলেও দুপুরের বা রাতের খাবার খান বয়স্ক কেন্দ্রে। দিনের শেষ সময়টা তিনি এখানেই কাটান। এখানকার দুই শতাধিক বাসিন্দার প্রত্যেক কক্ষে কক্ষে ঘুরে তাদের কুশলাদি জানেন। খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, কোনো প্রাপ্তির জন্য, কোনো স্বীকৃতির আশায় আমি এ কাজ শুরু করিনি। নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য আমি তা করছি। আমার একটি মাত্র সন্তান। তার জন্য যা করার তাছাড়া আমার বাকি সব এই বয়স্ক মানুষের জন্য।

তিনি জানান, স্ত্রী মাসুমা খাতুন তার এ কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগী। তিনি বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাসুমা কাজে সহযোগিতা করেন, উৎসাহ দেন।

খতিব মুকুল বলেন, দেশের যে কোনো প্রান্তে কোনো অসহায় মানুষের খবর আমরা পেলে তাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসি। নিজের পিতা-মাতার মতোই তাদের লালন পালন করি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শিশুদের পুনর্বাসনের একটি বিশেষ উদ্যোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তিন শতাধিক শিশুর পুনর্বাসন করা হয়েছে। তবে বিশেষ এ কার্যক্রমটিকে একেবারেই প্রচারের বাইরে রাখতে চান মুকুল।

তিনি বলেন, আমার এ কাজে দেশ-বিদেশের অনেকে সহযোগী হতে চেয়েছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলেছি এ কাজটি আমি একাই করে যেতে চাই যতো দিন আমার সামর্থ্য থাকে। নিজে পরিশ্রম করে শিল্প-কারখানা করেছি। হালাল উপার্জন থেকে আমি এই মানুষদের জন্য ব্যয় করি। এখানকার বাসিন্দাদেরও আমি বলি, আমি আপনাদের সন্তানের মতো। পরিশ্রম করে যা উপার্জন করি তা দিয়েই আপনাদের জন্য সাধ্যমতো করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমার কাজের জন্য মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটিই আমার জন্য বড় স্বীকৃতি। আর যদি কেউ আমাকে অনুসরণ করে। অসহায় বৃদ্ধ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের শেষ জীবনটা স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে তবে সেখানেই আমি আমার সব চেষ্টা এবং শ্রমের সার্থকতা খুঁজে পাবো। -এমজমিন
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে