প্রতিটি হত্যাকাণ্ডে অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়েছে: জয়
নিউজ ডেস্ক: আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার শুধুমাত্র সম্প্রতি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড ছাড়া ব্লগার, শিশু এবং বিদেশীসহ প্রতিটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। যারা বলছিলো সরকার অপরাধীদের ধরছে না এবং কিছুই করছে না তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে এসেছেন। শুধু অল্প কয়েকদিন আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ছাড়া বাকি সব আলোচিত হত্যা মামলায় অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিজের দাবির পক্ষে আলোচিত কয়েকটি মামলার সর্বশেষ অবস্থা তালিকা আকারে প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার রাতে ফেইসবুকে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় লেখেন, “আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার শুধু সম্প্রতি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ছাড়া ব্লগার, শিশু ও বিদেশিসহ প্রতিটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে।
“যারা বলছিলো সরকার অপরাধীদের ধরছে না এবং কিছুই করছে না তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে এসেছেন।”
জয় বলেছেন, ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যায় ছয়জন, অভিজিৎ রায় হত্যায় সাতজন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যায় তিনজন, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যায় চারজন, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নীলয় হত্যায় চারজন, চেজারে তাভেল্লা হত্যায় পাঁচজন, কুনিও হোসি হত্যাকাণ্ডে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া সিলেটে শিশু রাজন হত্যায় ১১ জন, খুলনায় শিশু রাকিব হত্যায় তিনজন, পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যায় দুজন এবং ঈশ্বরদীতে ফাদার লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
শুধু গত শনিবার প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের অফিসে হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যাচেষ্টায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন জয়।
এ দুটি ঘটনাসহ অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে টিএসসিতে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর গত সাত মাসে চারজন মুক্তমনা লেখক-প্রকাশক (ওয়াশিকুর, অনন্ত, নীলয় ও দীপন) খুন হয়েছেন।
এসব হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্লগার হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হাত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা বললেও কোনো হত্যাকাণ্ডেরই রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি।
সর্বশেষ দীপন হত্যায় জড়িতদের ধরতে সরকারকে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
০৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি