রানা প্লাজা মামলা: শ্রম মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি মেলেনি ৩ কর্মকর্তার
নিউজ ডেস্ক: রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম মন্ত্রনালয়ের মঞ্জুরি পাওয়া যায়নি। রবিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সহকারী সচিব শাহীন আক্তার স্বাক্ষরিত প্রতিবিদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই কর্মকর্তারা হলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শক ইউসুফ আলী, শহিদুল ইসলাম এবং উপপরিদর্শক জামশেদুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রানা প্লাজা ভবনে অবস্থিত গার্মেন্টস কলকারখানাসমূহের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশিষ্ট কর্মকর্তাগণ শ্রম আইন ও কারখানা বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করেননি এবং আইনত তাদেরকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা সমীচিন নহে। ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সরকারি মঞ্জুরি প্রদান করা যায়নি। মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করার আইনগতভাবে ও বাস্তবভিত্তিক কোনো কারণ বিদ্যমান নাই। এমতাবস্থায় রানা প্লাজা ভবনের ঘটনায় দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায তাদের বিরুদ্ধে মঞ্জুরি দেয়া গেল না।’
তবে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে।
ঢাকার জেষ্ঠ্য মুখ্য বিচারিক হাকিম আল-আমিন ওই প্রতিবেদন সংক্রান্তে আদেশের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল এ বিষয়ে বলেন, গত ২ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের পৃথক দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে গ্রহণ এবং পলাতক ২৫ আসামির বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্তে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শনিবার দিন ধার্য ছিল।
এ সময় কারাগারে থাকা আসামি ভবন মালিক সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম ও উত্তম কুমারকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা রানার মা মর্জিনা বেগমসহ ৮ জন আদালতে হাজির ছিলেন। ৫ জনের সময়ের আবেদন করা হয়। দুই মামলায় মোট ২৬ জন পলাতক আছেন।
গত ৮ জুলাই সরকারি ওই কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন। একই সঙ্গে পলাতক ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রাপ্তরা হলেন—সাভার পৌরসভার সাবেক প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, পৌরসভার সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, মো. মাহবুবুল আলম, নান্টু কন্ট্রাক্টর এব রেজাউল ইসলাম।
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে চলতি বছরের গত ১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর অভিযোগপত্র দুটি দাখিল করেন। দণ্ডবিধি ও ইমারত নির্মাণ আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
০৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি