রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:২৫:৫৯

এক আইভীর কারণে ল্যাবএইড ক্যান্টিনে খাবার বিক্রি বেড়েছে তিনগুণ

এক আইভীর কারণে ল্যাবএইড ক্যান্টিনে খাবার বিক্রি বেড়েছে তিনগুণ

ঢাকা : রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের ক্যান্টিনে খাবার বিক্রি তিনগুণ বেড়ে গেছে। সকাল, দুপুর এমনকি রাতেও এতটুকু দম ফেলারও ফুসরত পাচ্ছেন না ক্যান্টিনের বাবুর্চি ও বয়রা। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ।

কারণ আইভীকে দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসছেন। আর তারা ভিড় জমাচ্ছেন এই ক্যান্টিনে। ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে রোগী ও দর্শনার্থী মিলিয়ে প্রতিবেলায় মাত্র চারশ’ থেকে পাঁচশ’ লোকের খাবার রান্না হত সেখানে এখন প্রতিবেলায় আটশ’ লোকের রান্না হচ্ছে। আর দিনে তিনবেলায় প্রায় দুই হাজার চারশ’ লোকের খাবার রান্না করতে হচ্ছে।

ল্যাবএইডের একজন শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের ক্যান্টিনের রান্না ঘরে গেলে মনে হবে যেন কোনো মেজবানির দাওয়াতের রান্না-বান্না চলছে। আইভী ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে প্রায় এক ডজনেরও বেশি মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে শতশত নেতাকর্মী ভিড় করছে।

তাদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে দিনরাত থাকছেন ও ক্যান্টিনের খাবার কিনে খাচ্ছেন। পকেটের টাকা দিয়ে খাবার কিনে খেলেও তাদের খাবার খাওয়াতে গিয়ে ক্যান্টিনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দম ফেলারও ফুসরত নেই।

ওই কর্মকর্তা ঠাট্টাচ্ছলে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ কি খুব বেশি ভাত খায়। তারা ক্যান্টিনে গিয়ে নিজেদের পছন্দের মেনু বলে দিয়ে রান্না করায়। তবে রোববার সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের পর দর্শনার্থীদের ভিড় কিছুটা কমেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। গত বৃহস্পতিবার আইভীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সেইসঙ্গে আহত হন সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও অনেকে। জাগোনিউজ

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে