কোথায় আছেন, কেমন আছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক?
ঢাকা : জামায়াতের চরম দুঃসময়, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের রায়েও ফাঁসি বহাল রয়েছে।আমীরে জামায়াতের আপিল শুনানিও চলছে। দলটির সর্বোচ্চ এই দুই নেতা যখন ফাঁসির দড়ির খুব কাছাকাছি রয়েছেন তখন পাশে নেই তাদের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তিনি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন এ প্রশ্ন এখন সর্বমহলে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে দেশে নেই ব্যারিস্টার রাজ্জাক। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে বসেই সবকিছু অবলোকন করছেন। দেশ ছাড়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়।তার অনুপস্থিতিতেই আরেক জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়।
বর্তমানে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া চলমান।এ ছাড়াও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী- সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল।
সব কটি মামলার প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক কবে দেশে ফিরবেন বা আদৌ ফিরবেন কিনা, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তাই আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে এখন দলের ভিতরই সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রশ্ন।
তার অনুপস্থিতিতে মামলাগুলো পরিচালনা করছেন তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী।তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, দলের শীর্ষ নেতাদের দুর্দিনে দীর্ঘদিন রাজ্জাক সাহেবের অনুপস্থিতি রহস্যের জন্ম দিয়েছে।কাদের মোল্লার ফাঁসির পর তিনি যে সেই বিদেশ গেলেন আর কোনো খবর নেই। এরই মধ্যে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ও কার্যকর হয়েছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রায় কখন কার্যকরের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই নেতা বলেন, দলের দুঃসময়েই যদি তাকে পাশে পাওয়া না গেল, তাহলে সুদিনে তার কী দরকার!
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওমরাহ পালনের কথা বলে ঢাকা ছাড়েন জামায়াত নেতা রাজ্জাক। সৌদি আরব না গিয়ে প্রথমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখান থেকে লন্ডন হয়ে সৌদি আরব যান।পরে আবার লন্ডন ফিরে যান।
১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ
�