বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:০১:৪৪

খালেদার কাছে বাহাদুরের দরখাস্ত

খালেদার কাছে বাহাদুরের দরখাস্ত

নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় তোপের মুখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অনেকে মনে করছেন, স্বাধীনতার এতো বছর পর বিএনপি নেত্রীর এমন প্রশ্ন মহান মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের তরফে বেগম জিয়ার এমন বক্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও বিএনপি নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কফিল উদ্দিন বাহাদুর খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে একটি দরখাস্ত তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। পাঠকদের জন্য তার দরখাস্তটি তুলে ধরা হলো- বরাবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঢাকা, বাংলাদেশ। বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিকৃতিমূলক বক্তব্য প্রসঙ্গে। জনাবা, যুদ্ধ দেখিনি। তবে ইতিহাস পড়ছি, পড়তেছি, পড়ে যাব। বর্তমান প্রজন্মের একজন হিসেবে যুদ্ধ করতেছি প্রতিনিয়ত। ভবিষ্যতেও করে যাব। এতে সন্দেহের লেশ মাত্র নাই। জানি, এই দেশে অনেক বুদ্ধিজীবির জন্ম হয়েছে। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর তো হারিয়েছি অনেককে। যা অন্তরে দাগ লেগে থাকবে সারাজীবন। এখন অনেক সুশীল, বুদ্ধিজীবি অাছে। তবে ওনারা দুভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, অন্য পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। ভাবতাম, যারা বিপক্ষে তারা টাকার জন্য, ক্ষমতার জন্য, অালোচনায় থাকার জন্য এসব মিথ্যা ইতিহাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। যদিওবা কেউ তা গ্রহণ করছে না। ঠিক জামাত ও অাপনার নেতারা একই সুবিধার জন্য মিথ্যাচার চালাচ্ছে। অস্বীকার করার জো নাই অাপনিও মিথ্যাচারের বাইরে নয়। কিন্তু গতকাল (২১/১২/১৫) এই কোন ধরনের বক্তব্য দিলেন? এটা কি অার মিথ্যাচার থাকল? এটা জাতির কপালে লাথি মারার মতন। স্বয়ং ইতিহাসের জনককেও নিয়ে মিথ্যাচার! যা হতবাক না হওয়ার উপায় নাই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি মিথ্যার পর্দায় ঢেকে দিতে চাচ্ছেন জাতিকে? ছি: ছি: ছি: .......এই লেখায় ধিক্কার জানাচ্ছি অাপনাকে। হে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন করছি অাপনাকে- কোন যোগত্যাবলে অাপনি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? অাপনি জানেন অাপনার এসব নোংরা বক্তব্যে জীবিত থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ঢুকরে ঢুকরে কাঁদে? যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের অাত্মা কাঁদে? জনাবা, একবার ইচ্ছে হয় অাপনার সঙ্গে বসে কথা বলতে। পারবো না বা সে সুযোগ হবে না জানি। সুযোগ পেলে অাপনার চেহেরাটা কাছ থেকে দেখতাম চুপচাপ। তারপর কয়েকটা প্রশ্ন করতাম, যুদ্ধের সময় অাপনি কোথায় ছিলেন, একাত্তর সম্বন্ধে অাপনি কি জানেন, ইতিহাসের জনককে হত্যার মূল পরিকল্পনায় অাপনার স্বামী জড়িত ছিল কিনা, অাপনি বারবার ইতিহাস বিকৃতি কেন করেন। পরিশেষে অনুরোধ রইল এমন বিকৃতি করবেন না ইতিহাসকে। অতএব, মহোদয় এমন অযৌক্তিক, ইতিহাস বিকৃতিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকলে অাপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকিব।। নিবেদক কফিল উদ্দিন বাহাদুর এই দেশের একজন নাগরিক। ২২/১২/১৫ইং। কক্সবাজার। ২২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে